অযোধ্যা, 20 জানুয়ারি: বিশ্বের সবচেয়ে বড় তালা, ওজন 400 কিলো ৷ আরেকদিকে এক হাজার কেজিরও বেশি ওজনের বিপুলাকৃতি লাড্ডু ৷ রামমন্দির উদ্বোধনের আগে শনিবার অযোধ্যায় পৌঁছল লাড্ডু ও তালা ৷ দুই রামভক্ত রামলালার উদ্দেশ্যে অভিনব এই নিবেদন করেছেন ৷
অযোধ্যায় এই লাড্ডু এসেছে হায়দরাবাদ থেকে ৷ আর আলিগড় থেকে তালা ৷ ওই বিপুলাকৃতির প্রসাদি লাড্ডুটি তৈরি করেছে হায়দরাবাদের শ্রী রাম ক্যাটারিং সার্ভিসেস ৷ এই সংস্থার কর্ণধার নাগাভূষনম রেড্ডি লাড্ডু-সমেত অযোধ্যায় এসেছেন ৷
লাড্ডু কথা: এই লাড্ডু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "ভগবান আমার ব্যবসা এবং পরিবারকে আশীর্বাদ করেছেন ৷ আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, যতদিন বেঁচে থাকব, প্রতিদিন 1 কেজি লাড্ডু বানিয়ে ঈশ্বরকে প্রসাদ দেব ৷ আমি এই লাড্ডুর ফুড সার্টিফিকেটও এনেছি ৷ একমাস পর্যন্ত এই লাড্ডুটি খাওয়া যাবে ৷ 25 জন লোক 3দিন ধরে এই লাড্ডু তৈরি করেছে ৷" হায়দরাবাদ থেকে অযোধ্যা- এই দীর্ঘ রাস্তা লরিতে করে লাড্ডু এসেছে ৷ লাড্ডুকে ঘিরে রয়েছে একটি বক্স ৷ তার মধ্যে রয়েছে এসি ৷ এর ফলে লাড্ডুতে কোনও ধুলোবালি, ময়লা লাগবে না ৷ লাড্ডুও ভালো থাকবে ৷
লাড্ডু তৈরির উপকরণ: নাগাভূষনম রেড্ডি জানালেন, লাড্ডু তৈরিতে লেগেছে- 350 কিলো ছোলার আটা, 40 কিলো ঘি, 15 কিলো তেল, 700 কিলো চিনি, 40 কেজি কাজু বাদাম, 35 কিলো বাদাম, 4 কিলো কিশমিশ, 35 গ্রাম জাফরান, 3 কিলো এলাচ ৷ এছাড়া এক মাস ধরে লাড্ডুটি ঠিক রাখতে বিশেষ উপকরণও মেশানো হয়েছে ৷
তালা কাহিনি: আলিড়ে তালাটি তৈরি হয়েছিল 2 বছর আগে ৷ প্রবীণ দম্পতি সত্যপ্রকাশ শর্মা এবং তাঁর স্ত্রী রুক্মিণী শর্মা এই 400 কিলো ওজনের তালাটি তৈরি করেছেন ৷ তাঁরা আলিগড়ের নোরাঙ্গাবাদের বাসিন্দা ৷ অবশ্য তালা তৈরির আগেই সম্প্রতি সত্যপ্রকাশ শর্মার মৃত্য হয়েছে ৷ তাঁর ইচ্ছে ছিল, এই তালাটি রামমন্দিরে ভগবানকে নিবেদন করবেন ৷ সেই ইচ্ছে অনুযায়ী শুক্রবার রাতে তালা পৌঁছয় অযোধ্যায় ৷
আলিগড়ের নোরাঙ্গাবাদের বাসিন্দা মহামণ্ডলেশ্বর অন্নপূর্ণা ভারতী পুরী রীতিনীতি মেনে এই তালা নিয়ে আলিগড় থেকে রওনা দেন ৷ এই তালা দেখতে লোকজনের ভিড় জমে গিয়েছিল ৷ একটি ক্রেন এনে তালাটিকে ওঠানো ও নামানোর কাজ করতে হয়েছে ৷ তিনি বলেন, "এই তালার কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই মৃত্যু হয় সত্যপ্রকাশ শর্মার ৷ এরপর দিন-রাত এক করে কাজ করতে হয়েছে ৷ এই তালার ফলে আলিগড় আন্তর্জাতিক খ্যাতি পাবে ৷প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আলিগড়কে তালানগীর বলেন ৷ ভগবান রামের পায়ে এই তালা নিবেদনের উদ্দেশ্য আলিগড়কে আন্তর্জাতিক খ্যাতি দেওয়া ৷"
আরও পড়ুন: