রাজগীর, 19 জুন: নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় নয়া ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করলেন নরেন্দ্র মোদি ৷ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে 2016 সালে রাষ্ট্রসংঘ 'হেরিটেজ সাইট' ঘোষণা করে ৷ 1700 কোটি টাকা ব্যয়ে সেই নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া ক্যাম্পাস গড়ে তোলা হয়েছে ৷ লক্ষ্য শিক্ষাক্ষেত্রে দেশের হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনা ৷
তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর এটাই মোদির প্রথম বিহার সফর ৷ নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করার সময় প্রধানমন্ত্রী ছাত্রদের সর্বদা কৌতূহলী এবং সাহসী থাকার আহ্বান জানান । মোদির সঙ্গে এদিন ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ৷
মোদি এদিন বলেন, নালন্দা এই সত্যের সাক্ষ্য দেয় যে জ্ঞানকে ধ্বংস করা যায় না ৷ ভারত 2047 সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ হয়ে 21 শতকে সমস্ত ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে বদ্ধপরিকর । শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নত হলে দেশ অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিকাশ লাভ করে । আমাদের দেশও প্রাচীনকালে নালন্দা, বিক্রমশীলার মতো শিক্ষাক্ষেত্রগুলি বিকাশ লাভ করেছিল ৷ আমাদের লক্ষ্য যে ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বিশিষ্ট জ্ঞান ও বিকাশ কেন্দ্র হিসাবে পুনরায় আবির্ভূত হবে ।
‘‘এ লক্ষ্যে সরকার যথেষ্ট অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে ৷ শিশুদের মধ্যে উদ্ভাবনের চেতনা জাগ্রত করা হচ্ছে। এক কোটিরও বেশি শিশু অটল টিঙ্কারিং ল্যাবে প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে । চন্দ্রযান এবং গগনযান মিশনও বিজ্ঞানের প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়াচ্ছে ৷ প্রায় এক দশক আগে পর্যন্ত আমাদের মাত্র 100টি স্টার্টআপ ছিল । সেই সংখ্যাটাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে 1.30 লাখেরও বেশি । আমরা রেকর্ড সংখ্যক পেটেন্ট ফাইল করছি এবং গবেষণাপত্র প্রকাশ করছি । আমাদের সরকার গবেষণা এবং উদ্ভাবনের জন্য 1 লক্ষ কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল ঘোষণা করেছে ।’’
মোদি বলেন, "আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বৈশ্বিক র্যাঙ্কিং উন্নত হয়েছে । এক দশক আগে পর্যন্ত, মাত্র ন’টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কিউএস র্যাঙ্কিং ছিল । এখন সেই সংখ্যাটি 46-এ পৌঁছেছে ৷" এদিন তিনি নালন্দা মহাবিহারের ধ্বংসাবশেষে কয়েক মিনিট কাটিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ৷