ইটানগর, 13 জুন: তৃতীয়বার অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন পেমা খানডু ৷ টানা তিনবার তিনি উত্তর-পূর্বের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন তিনি ৷ এবারের বিধাসভা নির্বাচনে অরুণাচল প্রদেশ ও চিন সীমান্তে অবস্থিত তাওয়ার জেলার মুক্তো বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন ৷ বৃহস্পতিবার সকালে রাজ্যপাল কেটি পরনায়েক বিজেপি নেতা পেমা খানডুকে শপথ বাক্য পাঠ করান ৷
পেমা খানডুর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং এবং অন্যরা ৷
এদিন দর্জি খানডু স্টেট কনভেনশন সেন্টারে বিজেপির 11 জন বিধায়কও মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ৷ তাঁদের মধ্যে উপ-মুখ্যমন্ত্রী চাওমা মেন, প্রাক্তন বিধানসভা অধ্যক্ষ পিডি সোনা, বিজেপি রাজ্য সভাপতি বিউরাম ওয়াহগে এবং দাসানগলু পুল ৷ তিনি প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কালিখো পুলের স্ত্রী ৷ এবারের অরুণাচল সরকারে একমাত্র দাসানগলু পুল মহিলা মন্ত্রী ৷
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে 60টি আসনের মধ্যে 46টি আসনে জয়ী হয় বিজেপি ৷ রাজ্যে পরপর তিনবার ক্ষমতায় ফেরে ভারতীয় জনতা পার্টি ৷ এছাড়া এনপিইপি 5 টি, ইন্ডিয়া জোট 3টি, এনসিপি 3টি এবং পিপিএ 2টি আসনে জয় লাভ করে ৷ তাই সংখ্যাগরিষ্ঠা নিয়ে বিজেপি সরকার গড়ে এবং মুখ্যমন্ত্রী হন পেমা খানডু ৷
2016 সালে প্রথমবার অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন পেমা খানডু ৷ সেসময় তিনি কংগ্রেস সদস্য ছিলেন ৷ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কিছুদিন পর তিনি বিধানসভার প্রায় সব কংগ্রেস বিধায়ককে নিয়ে পিপলস পার্টি অফ অরুণাচলে যোগ দেন এবং সরকার গঠন করেন ৷ পরে ওই বছরেই ডিসেম্বরে অবশ্য তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয় ৷ তারপরই তিনি বিজেপিতে যোগ দেন ৷ 2019 সালের 29 মে তিনি দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ৷ সেবার 60টি আসনের মধ্যে 41টিতে জয়ী হয়েছিল বিজেপি ৷