শিলিগুড়ি, 16 জুন: আরও একদিন আটকে পর্যটক। খারাপ আবহাওয়ার কারণে করা গেল না এয়ারলিফট। তবে সোমবার সকাল থেকে টুং হয়ে মঙ্গনে নিয়ে আসা হবে পর্যটকদের। সেখান থেকে ট্রাভেল এজেন্টদের গাড়িতে করে পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা হবে গ্যাংটকে। তবে আবহাওয়ার যা পরিস্থিতি তাতে পায়ে হেঁটেও পর্যটকদের কতটা উদ্ধারকাজ করা যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। অন্যদিকে, চুংথাং গুরুদ্বারায় আটকে রয়েছে প্রায় 360 জন পর্যটক। সেখানে গুরুদ্বারার তরফে তাঁদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শনিবার পর্যটকদের এয়ারলিফট করে উদ্ধারের জন্য বায়ুসেনার কাছে আবেদন জানিয়েছিল সিকিম সরকার। সেইমতো চিনুক, এমআই-17ভি-ফাইভ, এলএইচয়ের মতো উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। কিন্তু মুষলধারে বৃষ্টির কারণে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
এদিকে, আটকে থাকা পর্যটকদের জায়গায় খাবারের সংকট দেখা দিতে শুরু করে। মুষলধারে বৃষ্টির কারণে পাহাড়ে আবার বেশ কয়েক জায়গায় নতুন করে ধসের ঘটনা ঘটেছে। সিকিমে আটকে পড়া পর্যটকরা বলছেন, তাঁদের যেন শীঘ্রই সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় ৷
টুং ও মঙ্গনের রাস্তাতেও ধস নেমেছে নতুন করে। এই অবস্থায় যদিও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ করছে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন। সকালের মধ্যে রাস্তা পরিষ্কার করা হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে বিআরও। কিন্তু আগামী দু'দিন সিকিমে অন্তত আরও 150 থেকে 200 মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। তাহলে এত পর্যটকদের জীবন ঝুঁকি নিয়ে তাঁদের মঙ্গনে নিয়ে আসা উদ্বেগের বলে মনে করছে পর্যটন মহল ৷
সোমবার যদি বৃষ্টি কম থাকে তাহলে এয়ারলিফ্টের সুযোগ থাকবে ৷ তা না-হলে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পাহাড়ি রাস্তা পার করে টুং থেকে মঙ্গন পৌঁছাতে হবে পর্যটকদের ৷ সেখান থেকে ট্রাভেল এজেন্টদের ছোট গাড়ি করে তাদের গ্যাংটকে ফেরাতে হবে ৷