বেঙ্গালুরু, 29 ফেব্রুয়ারি: পোশাক ঠিক নয়, এই অজুহাত দেখিয়ে কৃষককে মেট্রোয় চড়তে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল ৷ রাজাজিনগর মেট্রো স্টেশনের এই ঘটনায় এ বার বেঙ্গালুরু মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (বিএমআরসিএল) এবং কর্ণাটক সরকারের কাছে রিপোর্ট চাইল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ৷ চার সপ্তাহের মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে ৷
গত 18 ফেব্রুয়ারি বেঙ্গালুরুর রাজাজিনগর মেট্রো স্টেশনে এই ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গিয়েছে ৷ 26 ফেব্রুয়ারি ঘটনাটি খবরে আসে, যখন এক যাত্রী গোটা বিষয়টি ক্যামেরাবন্দি করে ভিডিয়োটি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন ৷ ওই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, কৃষককে মেট্রোয় উঠতে বাধা দেন নিরাপত্তা আধিকারিক ৷ সঙ্গে সঙ্গে এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন কৃষকের ঠিক পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি ৷ তিনি নিরাপত্তা আধিকারিককে বলেন যে, ওই কৃষকের বৈধ টিকিট রয়েছে ৷ সেই টিকিট নিয়ে তিনি মেট্রোতে উঠছেন ৷ তাঁর মেট্রোতে ওঠার পূর্ণ অধিকার রয়েছে ৷ তাছাড়া তাঁর কাছে এমন কোনও জিনিস নেই, যা নিয়ে মেট্রোতে ওঠা যাবে না ৷ ওই সহৃদয় ব্যক্তি এরপর প্রশ্ন তোলেন, মেট্রো কি শুধুমাত্র ভিআইপিদের জন্য ? তারপর ওই ব্যক্তিই কৃষককে সঙ্গে নিয়ে মেট্রোয় প্রবেশ করেন ৷
সোশাল মিডিয়ায় এই ভিডিয়ো পোস্ট হতেই নিন্দার ঝড় ওঠে ৷ বরখাস্ত করা হয় রাজাজিনগর মেট্রোর নিরাপত্তা বিভাগের এক সুপারভাইজারকে ৷ ঘটনাটি নজরে আসে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ৷ এরপরেই মেট্রো কর্পোরেশনকে নোটিশ জারি করা হয় । জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এই ঘটনায় একটি স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ নথিভুক্ত করেছে । এই ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে ৷ যার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে এনএইচআরসি এবং বিএমআরসিএল ম্যানেজারকে এই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
সিনিয়র মেট্রো অফিসার শংকর সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করেন, কৃষককে মেট্রোতে চড়তে বাধা দেওয়া হয়নি । তাঁর কাছে টিকিট ছিল না ৷ তাই তাঁকে টিকিট আনতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আধিকারিক ৷ তিনি বলেন, "ঘটনার চূড়ান্ত রিপোর্ট এখনও আসেনি ৷ রিপোর্ট এলে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানা যাবে ।"
আরও পড়ুন: