দেরাদুন, 6 ফেব্রুয়ারি: লিভ-ইন করতে হলে উত্তরাখণ্ড সরকারের কাছে নাম নথিভুক্ত করতে হবে যুগলকে ৷ ওই রাজ্যে ইউনিফর্ম সিভিল কোড কার্যকর হওয়ার পর এই নিয়ম বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে ৷
সোমবার উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় ইউনিফর্ম সিভিল কোড বিল পেশ করা হয়েছে । বিরোধীদের হট্টগোলের মধ্যেই বিলটি পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি । সেখানেই বলা হয়েছে, উত্তরাখণ্ডে লিভ-ইন সম্পর্কে বসবাসকারী যুগলদের জন্য নির্দিষ্ট ওয়েব পোর্টাল করা হবে ৷ সেখানে নাম নথিভুক্ত করা বাধ্যতামূলক ৷ তাছাড়া দিতে হবে মা-বাবা বা অভিভাবকদের তথ্যও ৷ সেখানে নাম নথিভুক্ত করলে সরকারের তরফে একটি শংসাপত্র দেওয়া হবে, সেই শংসাপত্র থাকলে লিভ-ইনে থাকা যুগলদের বাড়ি বা অন্য কোথাও থাকতে কোনও সমস্যা হবে না ৷
একই সঙ্গে ইউসিসি-তে জানানো হয়েছে যে যাঁরা লিভ-ইন করবেন, তাঁরা বিবাহিত হতে পারবেন না ৷ এমন কি অন্য কারও সঙ্গে কোনও গোপন সম্পর্কও রাখা যাবে না ৷ লিভ-ইনে থাকাকালীন কোনও যুগলের সন্তান জন্ম নিলে, তাকে আইনের চোখে বৈধ সন্তান হিসেবে বিবেচিত করা হবে এবং সন্তানের ওপর উভয়েরই সমান অধিকার থাকবে । তাছাড়া সম্পর্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হলে সেটাও সংশ্লিষ্ট পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করাতে হবে ৷ নাম নথিভুক্ত না করে লিভ-ইন করলে শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ইউনিফর্ম সিভিল কোডে ৷ সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, এক্ষেত্রে যুগলের ছয় মাসের কারাদণ্ড বা 25 হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে ।
লিভ-ইন সম্পর্কের জন্য জরুরি -
- উত্তরাখণ্ডে লিভ-ইন সম্পর্কে বসবাসকারী যেকোনও দম্পতি, তাঁরা উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা হোক বা না হোক, তাঁদের জন্য 381 ধারার ধারা (1) এর অধীনে লিভ-ইন সম্পর্কের বিশদ বিবরণ সংশ্লিষ্ট এলাকার রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক হবে ।
- উত্তরাখণ্ডের কোনও বাসিন্দা যদি রাজ্যের অঞ্চলের বাইরে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকেন, তবে তিনি 381 ধারার উপ-ধারা (1) এর অধীনে লিভ-ইন সম্পর্কের বিশদ বিবরণ নিজের এলাকার রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দিতে পারবেন ৷
- লিভ-ইন রিলেশনশিপ থেকে জন্ম নেওয়া সন্তান দম্পতির বৈধ সন্তান হিসেবে স্বীকৃত হবে ।
কোন কোন ক্ষেত্রে লিভ-ইন সম্পর্কের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন করা হবে না-
- কমপক্ষে একজন বিবাহিত বা ইতিমধ্যে লিভ-ইন সম্পর্কে রয়েছেন ।
- যুগলের কোনও একজন নাবালক হওয়া চলবে না ৷
- সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে যদি জোর করে লিভ-ইন থাকতে বাধ্য করানো হয় ৷
লিভ-ইন সম্পর্ক নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া-
- লিভ-ইন সম্পর্কের মধ্যে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে অবশ্যই তার লিভ-ইন সম্পর্কের একটি বিবৃতি সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দিতে হবে ।
- রেজিস্ট্রার জমা দেওয়া লিভ-ইন সম্পর্কের বিবরণের বিষয়বস্তু যাচাই করবেন ।
- উপ-ধারা (2) এর অধীনে তদন্ত করার সময় রেজিস্ট্রার যুগলের কোনও একজনকে তলব করতে পারেন৷ প্রয়োজনে আরও তথ্য-প্রমাণ চাইতে পারেন ৷
- সবকিছু খতিয়ে দেখার উপ-ধারা (1) এর অধীনে সংশ্লিষ্ট যুগলকে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকার শংসাপত্র দেবেন ৷ সাধারণত আবেদনের 30 দিনের মধ্যে এই শংসাপত্র দেওয়া হবে ৷ যদি আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়, তাহলে তা কেন হল, সেটাও জানাতে হবে রেজিস্ট্রারকে ৷
- লিভ-ইন সম্পর্কের ক্ষেত্রে নথিভুক্ত করা হবে শুধুমাত্র রেকর্ড রাখার উদ্দেশ্যে ।
রেজিস্ট্রারের ক্ষমতায়ন ও রেজিস্টার রক্ষণাবেক্ষণ-
- রাজ্য সরকার নিযুক্ত রেজিস্ট্রারকে রেজিস্ট্রার হিসাবে কাজ করার ক্ষমতা দিতে পারে ।
- রেজিস্ট্রার লিভ-ইন সম্পর্কের বিবৃতি এবং লিভ-ইন সম্পর্কের অবসানের বিবৃতি এবং এই জাতীয় অন্যান্য রেজিস্টারের একটি রেজিস্টার এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে বজায় রাখবেন ।
- " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">
আরও পড়ুন: