কলকাতা, 7 জানুয়ারি: হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের বা এইচএমপি ভাইরাসের সমস্ত নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে নাইসেডে ৷ এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ৷
এইচএমপি ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তের পরিবেশে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিস্থিতি কেমন, তা জানতেই সোমবার রাতে জোড়া বৈঠক করে স্বাস্থ্যভবন । রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা একটি বৈঠক করেন । সেখানে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলির পরিস্থিতি জানতে চায় স্বাস্থ্য দফতর ।
ঠিক তারপরেই আরও একটি বৈঠক করা হয় । সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নাইসেডের অধিকর্তারা । দু’টো বৈঠকই ভার্চুয়ালি করা হয় । বৈঠকগুলির পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবারে এইচএমপি ভাইরাস পরীক্ষার সমস্ত নমুনা পাঠানো হবে নাইসেডে । হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস পরীক্ষার জন্য নির্দিষ্ট করা হল নাইসেডকে ।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে সোমবার নাইসেডের অধিকর্তাদের বৈঠকে জানানো হয়, কলকাতার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল থেকে এইচএমপি ভাইরাস সংক্রান্ত নমুনা পাঠানো হবে নাইসেডে । যদি দেখা যায়, হাসপাতালে আসা কোনও রোগীর ক্ষেত্রে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের উপসর্গের সঙ্গে মিল রয়েছে, অথবা সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন রয়েছে । এই সমস্ত রোগীদের নমুনা নাইসেডে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে প্রত্যেকটি হাসপাতালকে ।
এর আগে করোনাভাইরাস অথবা অ্যাডিনো ভাইরাসের ক্ষেত্রেও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে সমস্ত নমুনা পাঠানো হতো নাইসেডে । সেখানে সমস্ত নমুনা পরীক্ষা করা হতো । এবারেও তার ব্যতিক্রম হল না । তবে এখনই এইচএমপি ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ার কিছু নেই বলেই আশ্বস্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মুখ্যসচিব ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে বৈঠক করেছেন বলেই জানিয়েছেন তিনি ।
রাজ্যে এখনও পর্যন্ত এক শিশুর শরীরে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে আক্রান্তের হদিশ মিলেছে । তবে ওই শিশু ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে । এছাড়াও সারা দেশে এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্তের খবর মিলেছে মাত্র চারজনের । তার মধ্যে গুজরাতে একজন, ব্যাঙ্গালোরে দু'জন এবং তামিলনাড়ুতে রয়েছে একজন ।