মুম্বই, 13 অক্টোবর: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে 'বিশ্বাসঘাতকতার নথি' প্রকাশ করল বিরোধী (মহা বিকাশ আগাডি) জোট ৷ রবিবার প্রকাশিত এই নথিকে বিরোধীদের তরফে 'গদ্দার পঞ্চনামা' বা বিশ্বাসঘাতককার প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
সেখানে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের সরকারের তীব্র নিন্দা করা হয় ৷ একই সঙ্গে, প্রতিবেশী রাজ্য গুজরাত মহারাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে, এমন অভিযোগও তোলা হয়েছে।
কংগ্রেস, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা এবং শরদ পাওয়ারের নেতৃত্বে থাকা এনসিপি নিয়ে গঠিত এই মহা বিকাশ আগাডি জোট ৷ তাদের অভিযোগ, প্রায়ই রাজ্য থেকে মেগা প্রকল্পগুলি গুজরাতে চলে যাচ্ছে ৷ আর সেই যাওয়া বন্ধ করার জন্য কোনও উদ্যোগই নেই রাজ্য সরকারের তরফে ৷ সাংবাদিক সম্মেলনে উদ্ধব ঠাকরে বলেন, "শুধু আমার বা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়নি ৷ আজ সমগ্র মহারাষ্ট্র বিশ্বাসঘাতকতার মুখোমুখি ৷ এটি সরকারের সবচেয়ে বড় পাপ।"
বিরোধী নেতাদের দাবি, তাঁদের পেশ করা নথিতে বিধায়ক এবং কাউন্সিলরদের অনৈতিকভাবে মোটা টাকার বিনিময়ে দল ভাঙিয়ে শাসক জোটে সামিল করার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। সরকারি আধিকারিকদের বদলি থেকে শুরু করে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের জন্য কীভাবে টাকা নেওয়া হচ্ছে তা বোঝাতে 'রেট কার্ড'ও যুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ধারাভি উন্নয়ন প্রকল্প, মুম্বই রাস্তা তৈরি সংক্রান্ত টেন্ডার-কেলেঙ্কারির কথাও বলা হয়েছে।
'পঞ্চনামা'য় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধিকে 'ঐতিহাসিক' বলে অভিহিত করেছে ৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলে বলেন, "শিন্ডে সরকার শ্রদ্ধেয় ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের মূর্তি নির্মাণের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি করেছে ৷ মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধও বাড়ছে ৷ দুর্নীতিগ্রস্ত এই জোট শিল্পগুলিকে মহারাষ্ট্র থেকে গুজরাতে তাড়িয়ে দিয়েছে ৷ আমাদের যুবকদের চাকরি ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য শাসক জোটকে উচিত শিক্ষা দিতে হবে ৷ ঘন ঘন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ রাজ্যের যুবকদের জীবনকে ধ্বংস করে দিয়েছে ৷"
মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট যে কোনও দিনই ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন ৷ বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে 26 নভেম্বর। তার আগে সরকারের বিরুদ্ধে ঝাঁঝ আরও বাড়াচ্ছে বিরোধীরা ৷ এমনিতেই হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে জয় বিজেপিকে অক্সিজেন দিয়েছে। বুথ ফেরত সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণ করে ক্ষমতায় এসেছে গেরুয়া শিবির। এরইমধ্যে পাল্টা চাপ বাড়ানোর কৌশল নিল বিরোধীরা।
(পিটিআই)