ETV Bharat / bharat

বিএমডব্লিউ হিট অ্যান্ড রান: ফোন অফ রেখেও শেষরক্ষা হল না, গ্রেফতার শিবসেনার নেতার পুত্র মিহির - Mumbai BMW Hit and Run

BMW hit and run case: মুম্বই বিএমডব্লু মামলায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত মিহির শাহ ৷ একই সঙ্গে আটক করা হয়েছে তার পরিবারের সদস্যদেরও ৷ মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপন করেও শেষরক্ষা হল না শিবসেনা নেতার পুত্রের ৷

BMW hit and run case
বিএমডব্লিউ মামলা (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 10, 2024, 11:29 AM IST

মুম্বই, 10 জুলাই: ওয়ারলিতে বিএমডব্লিউ হিট-অ্যান্ড-রান মামলায় অবশেষে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত মিহির শাহ ৷ এর আগে শিবসেনা নেতা রাজেশ শাহকে 14 দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছিল মুম্বইয়ের আদালত ৷ দুর্ঘটনার সময় তাঁর ছেলে মিহির শাহ ওই গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ ৷

দুর্ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন মিহির ৷ এক মহিলাকে পিষে মারার অভিযোগ রয়েছে মিহিরের বিরুদ্ধে (23) ৷ শেষ পর্যন্ত তাকে ওয়ারলি পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার কৃষ্ণকান্ত উপাধ্যায় ৷ মিহিরকে খুঁজতে গিয়ে শাহপুরের রিসোর্ট থেকে মিহিরের পরিবারের একাধিক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। কিঞ্জল শাহ (বোন), পূজা শাহ (বোন), মিনি শাহ (মা) এবং আওয়াদিতকে (বন্ধু) আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। অভিযোগ, অ্যানি বেসান্ত রোডে দ্রুত গতিতে বিএমডব্লু গাড়ি নিয়ে মিহির মৎস্যজীবী কাবেরী নাখওয়া (45)-কে ধাক্কা দেয় বলে অভিযোগ। কাবেরীর সেই বিএমডব্লিউ গাড়ি নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ৷ প্রায় দেড় কিলোমিটারেরও বেশি দূরে তাঁর দেহ হিঁচড়ে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ ৷ এই ঘটনায় মামলা দায়ের হওয়ার পর মিহিরের বাবা রাজেশ শাহ ও চালক রাজঋষি বিদাওয়াতকে গ্রেফতার করে ওরলি পুলিশ।

কিন্তু ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল মিহির ৷ তাঁর খোঁজে লুকআউট সারকুলার জারি করে পুলিশ ৷ গত দু'দিন ধরে মিহিরের কোনও খোঁজও পায়নি পুলিশ। তারা এবং মিহির সবাই মুরবাদের শাহাপুর গ্রামে এক বন্ধুর রিসোর্টে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। মিহিরকে গ্রেফতার করতে স্থানীয় পুলিশ ও অপরাধ দমন শাখার মোট 16 জনের একটি দল পাঠায় পুলিশ। খবর পেয়ে সোমবার রাতেই মিহির রিসোর্ট থেকে ভিরারে পালিয়ে যায় বলে খবর। একই সঙ্গে পুলিশ সূত্রে খবর, মিহির এবং তার পরিবার, বন্ধুরা তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছিল ৷ আর সেকারণেই তাদের খোঁজ পেতে দেরি হয় পুলিশের ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, প্রয়োজনে মিহির পালঘর এবং বোরিভালি থেকে তার বন্ধুদের সঙ্গে বিভিন্ন ফোন নম্বর মারফৎ যোগাযোগ রাখতেন। মঙ্গলবার সকালে মাত্র 15 মিনিটের জন্য মিহিরের বন্ধু তার সুইচ অফ করা মোবাইল ফোনটি চালু করে। এরপরই পুলিশ ওই মোবাইল ফোনের অবস্থান খুঁজে পায়। কিন্তু, মাত্র 15 মিনিটের মধ্যে, সেই ফোনটি আবার বন্ধ হয়ে যায়।

এরপরই পুলিশ মোবাইল ফোন ট্রেস করে তার বন্ধু এবং তার মা, বোন সকলকেই আটক করে। পরে মিহিরকেও ভিরার থেকে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার 72 ঘন্টা পরে পুলিশ মিহিরকে গ্রেফতার করে ৷ গাড়ি চালানোর সময় মিহির মদ্যপ ছিলেন তা প্রমাণ করা পুলিশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলেও মনে করছে। রবিবার গোরেগাঁওয়ে তার বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করার পরে, মিহির তার মা এবং দুই বোনের সঙ্গে রিসর্টে যান ৷ যেখানে তার সঙ্গেই আরও তিন বন্ধু যোগ দিয়েছিলেন। একজন পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, পুলিশ তাকে গ্রেফতার করবে এই ভয়ে মিহির সোমবার রাতে রিসোর্ট ছেড়ে চলে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, মিহিরকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হবে ৷ বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হবে। মিহিরকে মুম্বইয়ে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

মুম্বই, 10 জুলাই: ওয়ারলিতে বিএমডব্লিউ হিট-অ্যান্ড-রান মামলায় অবশেষে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত মিহির শাহ ৷ এর আগে শিবসেনা নেতা রাজেশ শাহকে 14 দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছিল মুম্বইয়ের আদালত ৷ দুর্ঘটনার সময় তাঁর ছেলে মিহির শাহ ওই গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ ৷

দুর্ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন মিহির ৷ এক মহিলাকে পিষে মারার অভিযোগ রয়েছে মিহিরের বিরুদ্ধে (23) ৷ শেষ পর্যন্ত তাকে ওয়ারলি পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার কৃষ্ণকান্ত উপাধ্যায় ৷ মিহিরকে খুঁজতে গিয়ে শাহপুরের রিসোর্ট থেকে মিহিরের পরিবারের একাধিক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। কিঞ্জল শাহ (বোন), পূজা শাহ (বোন), মিনি শাহ (মা) এবং আওয়াদিতকে (বন্ধু) আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। অভিযোগ, অ্যানি বেসান্ত রোডে দ্রুত গতিতে বিএমডব্লু গাড়ি নিয়ে মিহির মৎস্যজীবী কাবেরী নাখওয়া (45)-কে ধাক্কা দেয় বলে অভিযোগ। কাবেরীর সেই বিএমডব্লিউ গাড়ি নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ৷ প্রায় দেড় কিলোমিটারেরও বেশি দূরে তাঁর দেহ হিঁচড়ে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ ৷ এই ঘটনায় মামলা দায়ের হওয়ার পর মিহিরের বাবা রাজেশ শাহ ও চালক রাজঋষি বিদাওয়াতকে গ্রেফতার করে ওরলি পুলিশ।

কিন্তু ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল মিহির ৷ তাঁর খোঁজে লুকআউট সারকুলার জারি করে পুলিশ ৷ গত দু'দিন ধরে মিহিরের কোনও খোঁজও পায়নি পুলিশ। তারা এবং মিহির সবাই মুরবাদের শাহাপুর গ্রামে এক বন্ধুর রিসোর্টে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। মিহিরকে গ্রেফতার করতে স্থানীয় পুলিশ ও অপরাধ দমন শাখার মোট 16 জনের একটি দল পাঠায় পুলিশ। খবর পেয়ে সোমবার রাতেই মিহির রিসোর্ট থেকে ভিরারে পালিয়ে যায় বলে খবর। একই সঙ্গে পুলিশ সূত্রে খবর, মিহির এবং তার পরিবার, বন্ধুরা তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছিল ৷ আর সেকারণেই তাদের খোঁজ পেতে দেরি হয় পুলিশের ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, প্রয়োজনে মিহির পালঘর এবং বোরিভালি থেকে তার বন্ধুদের সঙ্গে বিভিন্ন ফোন নম্বর মারফৎ যোগাযোগ রাখতেন। মঙ্গলবার সকালে মাত্র 15 মিনিটের জন্য মিহিরের বন্ধু তার সুইচ অফ করা মোবাইল ফোনটি চালু করে। এরপরই পুলিশ ওই মোবাইল ফোনের অবস্থান খুঁজে পায়। কিন্তু, মাত্র 15 মিনিটের মধ্যে, সেই ফোনটি আবার বন্ধ হয়ে যায়।

এরপরই পুলিশ মোবাইল ফোন ট্রেস করে তার বন্ধু এবং তার মা, বোন সকলকেই আটক করে। পরে মিহিরকেও ভিরার থেকে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার 72 ঘন্টা পরে পুলিশ মিহিরকে গ্রেফতার করে ৷ গাড়ি চালানোর সময় মিহির মদ্যপ ছিলেন তা প্রমাণ করা পুলিশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলেও মনে করছে। রবিবার গোরেগাঁওয়ে তার বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করার পরে, মিহির তার মা এবং দুই বোনের সঙ্গে রিসর্টে যান ৷ যেখানে তার সঙ্গেই আরও তিন বন্ধু যোগ দিয়েছিলেন। একজন পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, পুলিশ তাকে গ্রেফতার করবে এই ভয়ে মিহির সোমবার রাতে রিসোর্ট ছেড়ে চলে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, মিহিরকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হবে ৷ বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হবে। মিহিরকে মুম্বইয়ে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.