মহু (মধ্যপ্রদেশ), 12 সেপ্টেম্বর: সেনাবাহিনীর দুই অফিসারকে মারধরের পাশাপাশি এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ৷ মহুর বদগোন্ডা থানা এলাকার জাম গেটের কাছে সেনাবাহিনীর দুই শিক্ষানবিশ জওয়ানের উপর হামলা চালানোর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযোগ, দুই সেনাকর্মীর উপর হামলা চালানোর পাশাপাশি 10 লাখ টাকা দাবি করে কয়েকজন দুষ্কৃতী। একই সঙ্গে, এক সেনা কর্মীর বান্ধবীকে গণধর্ষণের অভিযোগও উঠেছে ৷ খবর পেয়েই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ ৷ ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আরও 6 অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়েছে ৷ তাঁদেরও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
জানা গিয়েছে, 2 সেনা কর্মী তাঁদের এক বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন ৷ তাঁদের বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। এখানে এসেছিলেন প্রশিক্ষণ। এক সেনাকর্মীর বান্ধবীও সঙ্গে আসেন। মঙ্গলবার রাতে ওই সেনাকর্মী তাঁর বান্ধবী এবং অন্য আরও এক সহকর্মীর সঙ্গে মহুর একটি পর্যটন কেন্দ্রে বেড়াতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, রাত আড়াইটের দিকে তাঁদের প্রায় সাত থেকে আট জন ঘিরে ধরে মারধর করে ৷ ডাকাতির উদ্দেশেই তারা পেছন থেকে অতর্কিতে হামলা চালায় বলে জানা গিয়েছে। সংঘর্ষের সময় গুরুতর জখম হয়েছেন 2 সেনা কর্মীই।
সেই সময়ই সেনা কর্মীর বান্ধবীকে দুষ্কৃতীরা গণধর্ষণ করে বলেও অভিযোগ ৷ এরপরই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ডিআইজি (গ্রামীণ) নিমিশ আগরওয়াল বলেন, "অভিযোগকারী জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা তাঁদের মারাত্মকভাবে মারধর করেছে। পুলিশের কাছে এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগও করেছেন অভিযোগকারী। ডাকাতির পাশাপাশি গণধর্ষণের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।"
পুলিশ সুপার পল্লি হিতিকা ভাস্কেল জানান, ঘটনার খবর পেয়েই তাঁরা তৎপর হয়েছেন। অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশের পাঁচ সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে। সেই দলই অভিযুক্তদের খোঁজে এলাকায় এবং অন্যান্য জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে। ঘটনায় আশপাশের লোকজন জড়িত থাকতে পারে বলেও অনুমান পুলিশের ৷ এই ব্যাপারে পুলিশ বিভিন্ন পয়েন্টে তদন্ত করে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ৷ বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।