কলকাতা, 15 মে: 10 বছরে দেশের 25 কোটি নাগরিকের দারিদ্রসীমার উপরে উঠে আসার তত্ত্ব এবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কথাতেও ৷ তা সত্ত্বেও কেন দেশে বেকারত্বের হার বেশি ? এই প্রশ্ন অবশ্য এড়িয়ে গেলেন বিদেশমন্ত্রী ৷ এদিন কলকাতায় এস জয়শঙ্কর তাঁর লেখা বই 'হোয়াই ভারত ম্যাটার্স'-এর বাংলা সংস্করণ 'বিশ্ববন্ধু ভারত' প্রকাশের অনুষ্ঠানে যোগ দেন ৷ সেখানেই ভারতের 25 কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার উপরে চলে এসেছে বলে দাবি করেন তিনি ৷
উল্লেখ্য, চলতি লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার এই 25 কোটির দারিদ্রসীমার উপরে উঠে আসা ৷ সেই একই বিষয় এবার উঠে এল বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যেও ৷ তাঁর মতে, এর প্রভাব সরাসরি ভারতের বিদেশনীতিতে পড়েছে ৷ এর ফলে বিশ্বের কাছে ভারতের গুরুত্ব আরও বেশি করে বেড়েছে বলে দাবি করেন তিনি ৷
জয়শঙ্কর বলেন, "দেশের মানুষ গত 10 বছরে আর্থিকভাবে অনেকটাই স্বাবলম্বী হয়েছে ৷ 10 বছরে প্রায় 25 কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার উপরে উঠে এসেছে ৷ তারা আগের চেয়ে আর্থিকভাবে অনেক বেশি স্বনির্ভর ৷ আর এর প্রভাব পড়েছে ভারতের বিদেশ নীতিতেও ৷ আমাদের দেশের বিদেশ নীতিও 'সব কা সাথ, সব কা বিকাশ' ৷ সেই কারণে অন্যান্য দেশগুলি এখন ভারতের প্রতি আগের চেয়ে অনেক বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব পোষণ করে ৷"
সম্প্রতি ইরানের সঙ্গে ভারতের চাবাহার বন্দর নিয়ে 10 বছরের চুক্তি হয়েছে, যা ভারতের বিদেশনীতি একটা বড় সাফল্য ৷ কিন্তু, ইরানের সঙ্গে এই চুক্তি স্বাক্ষর হতেই বেঁকে বসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৷ ভারতকে ইরানের সঙ্গে এই চুক্তি করা নিয়ে সতর্ক করেছে ওয়াশিংটন ৷ এই প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী বলেন, "সংকীর্ণ মনোভাব দেখলে চলবে না ৷ কারণ, এই প্রকল্পে সকলে উপকৃত হবে ৷ এখন তারা এই মন্তব্য করলেও, আগে আমেরিকাও চাবাহার বন্দরের গুরুত্বের কথা স্বীকার করেছে ৷"
তাঁর কথায়, "আমেরিকা ও কানাডার মতো দেশ ভারতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে ৷ কারণ, তারা মনে করে যে 80 বছর ধরে সারা বিশ্বে রাজত্ব করছে ৷ প্রাচ্যের দেশগুলি গত 200 বছর ধরে বিশ্বের বাকি দেশগুলিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে ৷ তাহলে যারা গত 200 বছর এই মনোভাব পোষণ করে, তারা হঠাৎ করেই এই স্বভাব কী করে বদলে ফেলবে ?"
আরও পড়ুন: