সুরাত, 2 এপ্রিল: দেশীয় উৎপাদনে গুরুত্ব দিতে হবে ভারতকে ৷ অর্থনীতির প্রশ্নে চিনকে টেক্কা দেওয়ার জন্য় এটাই একমাত্র পথ ৷ দু-দেশের সীমান্ত সমস্য়ার আবহে এমনই জানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ৷ তাঁর কথায়, "যদি আমাদের চিনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হয় তাহলে দেশীয় উৎপাদনে মনোযোগ দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। 2014 সালে মোদিজি ক্ষমতায় আসার পর উৎপাদনের প্রতি দেশের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গিয়েছে । এর আগে উৎপাদনে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি ৷"
সুরাতে সাউদার্ন গুজরাত চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এসজিসিসিআই) দ্বারা আয়োজিত "ভারতের অর্থনৈতিক উত্থান" বিষয়ক একটি কর্পোরেট সামিটে বক্তৃতা দেন জয়শঙ্কর । আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিতে চিনের অবস্থান এবং বর্তমান দু-দেশের সম্পর্ক প্রসঙ্গে আলোচনা করে তিনি বলেন, "উন্নয়নশীল প্রযুক্তির মাধ্য়মে ভারতের উত্থান সম্ভব। দুর্বল উৎপাদনের উপর শক্তিশালী প্রযুক্তি তৈরি করা সম্ভব নয় । যে কোনও মূল্যে, আমাদের উৎপাদনের উপর বিশেষ জোর দেওয়া উচিত, কারণ এটাই একমাত্র অর্থনৈতিক প্রতিক্রিয়া ৷"
চিনের স্ট্য়ানডার্ড ম্য়াপ প্রকাশিত হওয়ার পর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় উত্তেজনা বেড়ে গিয়েছে ৷ সেই প্রসঙ্গে বেজিংঙে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত জয়শঙ্কর জানান, সীমান্তে উত্তেজনা চিন-ভারত সম্পর্ককে প্রভাবিত করেছে। তাঁর কথায়, "সীমান্তে উত্তেজনার জন্য় দু-দেশের সম্পর্কের মধ্য়ে অস্বাভাবিকতা এসেছে ৷ তবে আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য় সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা না থাকলে সম্পর্ক অবনতির দিকেই যাবে।"
দীর্ঘদিন আগে থেকেই চিনা পণ্য়ে ছেয়ে গিয়েছে ভারতের বাজার ৷ 2014 সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী এর বিরুদ্ধে একাধিক কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও বিভিন্ন বেআইনি উপায়ে ভারতীয় বাজারে আধিপত্য় বজায় রেখেছে বেজিং ৷ তবে জয়শঙ্করের মতে দেশীয় উৎপাদনের উপর ভারত গুরুত্ব দিলে সেই সমস্য়ার সমাধান সম্ভব ৷ সেই সঙ্গে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ভবিষ্যত এবং উন্নত দেশগুলির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "নয়াদিল্লির কখনই বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ছেড়ে যাওয়া উচিত নয় ।"
(সংবাদ সূত্র-পিটিআই)
আরও পড়ুন: