পূর্ণিয়া(বিহার), 11 এপ্রিল: দ্বিতীয় স্ত্রীকে খুন করে দেহ আইসক্রিমের বাক্সে রেখে নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের পূর্ণিয়ার শশী থানা এলাকার ৷ অভিযুক্ত পেশায় আইসক্রিম বিক্রেতা ৷ ঘটনার পর থেকেই পলাতক স্বামী অজয় ও তাঁর পুরো পরিবার ৷ জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম পুতুল দেবী। তিনি বনমানখি থানা এলাকার ধকধরার বাসিন্দা।
পুতুলের পরিবার তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেছে । মৃত মহিলার পরিবার জানিয়েছে, তারা কাটিহার জেলার সামেলি চাঁদপুরের বাসিন্দা। চলতি বছরের 11 মার্চ অজয়ের সঙ্গে ঘটা করে পুতুলের বিয়ে হয়েছিল । কিন্তু অজয় ইতিমধ্যে বিবাহিত এবং তিনি দুই সন্তানের পিতা। তা মেয়ের পরিবার আগে থেকে জানত না ৷ বিয়ের পর সে কথা জানাজানি হয়।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, পুতুলের সঙ্গে বিয়ের পর অজয়ের প্রথম স্ত্রীর পরিবার যখন বিষয়টি জানতে পারে তখন তারা জামাইয়ের বাড়িতে পৌঁছে যায়৷ পুতুলকে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। এরপর পুতুল তাঁর মামার বাড়িতে চলে আসেন ৷ তখন বাবা-মা পুতুলকে তাঁর শ্বশুর বাড়িতে যেতে নিষেধ করেন ৷ কিন্তু পুতুল সেই নিষেধ মানেননি ৷ তিনি বলেছিলেন,অজয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে। তাই যাই ঘটুক না কেন তিনি অজয়ের সঙ্গেই থাকবেন ।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, খুনের পর প্রমাণ নষ্ট করতে অজয় দেহটিকে একটি বরফের বাক্সে রেখে সেটি কোশি নদীতে ফেলে দেয় । ঠিক সে সময় নদীর ধারে মাঠে ককেকজন শিশু খেলছিল। তারা অজয়কে বরফের বাক্সে দেহ রেখে সেটি নদীতে ফেলে দিতে দেখেছিল। সেই ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে ৷
দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পূর্ণিয়া মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয় । শশী থানার তরফে জানানো হয়েছে, নিহতের পরিবারের সদস্যরা জামাই অজয় ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে মেয়েকে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করেছেন । পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করেছে। বর্তমানে অভিযুক্ত অজয় তাঁর পরিবারের সঙ্গে গা ঢাকা দিয়েছে । তাদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: