লখনউ, 5 অক্টোবর: বিপুল লাভের প্রলোভন দেখিয়ে ক্রিপ্টো কারেন্সি রুবি কয়েনে বিনিয়োগ করিয়ে 150 কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ ৷ বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার আগে এসটিএফের হাতে ধরা পড়ল অভিযুক্ত ৷ ধৃতের নাম সমীর কেশারি ৷ তিনি মূলত পশ্চিমবঙ্গের মালদার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত বছরের পর বছর ধরে মার্কেটিংয়ের কাজ করেন । এর সুযোগ নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নিরীহ মানুষকে জালিয়াতির ফাঁদে ফেলতেন তিনি । এরপর বিপুল আয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাদেরকে দিয়ে ক্রিপ্টো কারেন্সি রুবি কয়েনে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করাতেন ।
উত্তর প্রদেশের এক পুলিশ আধিকারিক দীপক সিং বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের মালদার বাসিন্দা সমীর কেশারি লখনউয়ের সুশান্ত গল্ফ সিটিতে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন । তিনি তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে ভুয়ো ভার্চুয়াল কয়েন (রুবি কয়েন) তৈরি করে রাজ্য ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিনিয়োগকারীদের কোটি কোটি টাকার কষ্টার্জিত অর্থ বিনিয়োগ করিয়েছিলেন । বিপুল মুনাফার লোভ দেখিয়ে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন তিনি ।"
পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় সমীর জানিয়েছেন যে তিনি কলকাতার একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন । এখানে তার ভালো বিক্রয় দক্ষতার কারণে তিনি শীঘ্রই কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে (বোর্ড অফ ডাইরেক্টর) জায়গা করে নেন । 2016 সালে জালিয়াতির কারণে তাঁকে মধ্যপ্রদেশের দুর্গ থেকে পাকড়াও করা হয়েছিল । জেল থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি ছত্তিশগড়ের রায়পুরে থাকতে শুরু করেন । তিনি রুবি কয়েন নামে একটি ভার্চুয়াল কয়েন চালু করেন । ধীরে ধীরে তিনি সেটার প্রচার করতে থাকেন । এর ফলে মানুষ তাঁর ভুয়ো প্রতিশ্রুতির ফাঁদে পড়ে ।
এ কারণে কোম্পানির মূল্য বাড়তে থাকে । অভিযোগ, সমীর ও তাঁর সহযোগীরা মানুষের টাকা রুবি কয়েনে বিনিয়োগ করতেন । মানুষকে আকর্ষণীয় প্রতিশ্রুতি দিতেন । এটি একটি নিরাপদ বিনিয়োগ । এতে বিনিয়োগকারীর মূল পুঁজি সবসময় নিরাপদ থাকবে । বিনিয়োগকারী যদি তার টাকা তুলে নিতে চান, তাহলে তিনি তিন বছর পর আগে নোটিশ দিয়ে তার কয়েনের বিনিময়ে টাকা তুলে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নিতে পারেন । এই সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিতেন তিনি ৷ সমীরের কাছে বিনিয়োগকারীর সম্পূর্ণ বিনিয়োগ মূলধন ব্যবহারের অধিকার থাকত এবং বিনিয়োগকারীকে বিনিয়োগকৃত মূলধনের বিনিময়ে বিভিন্ন পর্যটন স্থানে ট্যুর প্যাকেজ দেওয়া হতো ।