মুম্বই, 13 জুলাই: বিধান পরিষদে বড় জয় পেল মহারাষ্ট্রের শাসক শিবির। 11টি আসনের মধ্যে 9টিতে জয় পেল বিজেপি, একনাথ শিন্ডের নিয়ন্ত্রণে থাকা শিবসেনা এবং অজিত পাওয়ারে নিয়ন্ত্রণে থাকা এনসিপি । দু’টি আসন গেল বিরোধিদের হাতে । আর এখানেই দেখা যাচ্ছে শাসক শিবিরের প্রার্থীরা কিছু অতিরিক্ত পরিমাণে ভোট পেয়েছেন । এই ভোট কোথা থেকে এলো তাই এখন মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। বছর শেষে বিধানসভা নির্বাচন । তার আগে লোকসভায় বড় হার হয়েছে শাসকের । এরই মধ্যে বিধান পরিষদের ফলাফল বিজেপিকে নতুন অক্সিজেন দেবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।
মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের নির্বাচনের হিসেব খানিকটা জটিল । সংখ্যার বিচারে 23 জন বিধায়ক থাকলে কোনও একটি দল একজন বিধান পরিষদ সদস্য পেতে পারে । বর্তমানে বিধানসভায় বিজেপির আছে 103টি আসন । সেই হিসেবে তাদের চারটি আসন জয় ছিল নিশ্চিত । কিন্তু এবার পাঁচটি আসনে প্রার্থী দেয় বিজেপি । মানে পঞ্চম আসন জিততে আরও 12 জন বিধায়কের সমর্থন দরকার হত । তাদের শরিকরা প্রার্থী দেয় দু’টি করে আসনে । যথাক্রমে শিন্ডে শিবিরের সেনার কাছে আছেন 37 জন বিধায়ক । মানে দু’টি আসন জেতার জন্য দরকার ছিল আরও 9 জনের সমর্থন । অজিতের এনসিপির বিধায়ক সংখ্যা 39 । সেই হিসেবে দলের দ্বিতীয় প্রার্থীকে জেতাতে তাদের আরও সাত বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন ছিল । ভোট মেটার পর দেখা যাচ্ছে সেই সমর্থন তারা পেয়েছে । অন্যদিকে 37 বিধায়কের সমর্থন থাকা কংগ্রেস লড়েছিল একটি আসনে । সেটি তারা জিতেছে।
এবছরের শেষেই মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন । লোকসভা নির্বাচনে ভালো করা বিরোধী শিবির রাজ্যে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে । তারই মধ্যে বিধান পরিষদে এই ফল বিরোধী শিবিরকেই ধাক্কা দেবে । বিশেষ করে যেভাবে বিজেপি ও এনডিএ হিসেবের চেয়ে বেশ ভোট পেয়েছে সেটা কংগ্রেস ও অন্যদের চাপে রাখবে। নির্বাচনের জেতার পর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিরোধীদের কড়া কটাক্ষ করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী । তিনি বলেন, ‘‘আমরা এমন ব্যাট করেছি, যে বিরোধীরা আর পাত্তা পাবে না ।’’