নয়াদিল্লি, 2 জুলাই: 'তানাশাহি নেহি চলেগা...' কিংবা 'ঝুট বোলে কাউয়া কাটে' ৷ বিরোধী আসন থেকে ভেসে আসা এমনই নানা শব্দবন্ধের বাধা কাটিয়ে মঙ্গলবার সংসদের নিম্নকক্ষে জবাবি ভাষণ পেশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ এদিন প্রধানমন্ত্রীর প্রায় আড়াই ঘণ্টার ভাষণে একমুহূর্তের জন্যও থামেনি বিরোধীদের হট্টগোল ৷ স্পিকার ওম বিড়লা একাধিকবার চেষ্টা করলেও লাভের লাভ কিছু হয়নি ৷ শেষমেশ প্রধানমন্ত্রীর জবাবি ভাষণ চলাকালীন বিরোধীদের হট্টগোলের নিন্দা করে মঙ্গলবার প্রস্তাব পাশ হল লোকসভায় ৷
এই নিন্দা প্রস্তাব এনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, এদিন বিরোধীদের হট্টগোল সংসদীয় রীতিনীতিকে ভঙ্গ করেছে ৷ প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পরই এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিন্দা প্রস্তাবটি আনেন ৷ তিনি বলেন, "রাষ্ট্রপতি ভাষণের ধন্যবাদ প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সময় বিরোধীরা যে আচার-ব্যবহার করেছেন তা সংসদীয় রীতিনীতিকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে ৷ আমার মনে হয় লোকসভা বিষয়টির নিন্দা করবে ৷"
স্পিকার ওম বিড়লাও বিরোধীদের হৈচৈ'য়ের বিষয়টিকে সহজভাবে নেননি ৷ একপ্রকার ধমক দিয়েই তিনিও জানান, বিরোধীদের এহেন ব্যবহার সংসদীয় আচার-আচরণের পরিপন্থী ৷ ওম বিড়লা বলেন, "আমি সকল সদস্যকেই বলার জন্য পর্যাপ্ত সময় দিয়েছি ৷ 90 মিনিটেরও বেশি সময় আমি বিরোধী দলনেতাকে দিয়েছিলাম বলার জন্য, কিন্তু তাঁর এই ব্যবহার সংসদীয় আদবকায়দার সঙ্গে একেবারেই খাপ খায় না ৷" রাজনাথের আনা নিন্দা প্রস্তাবকে সমর্থন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ শেষে ধ্বনিভোটে সেটি পাশ হয় সংসদের নিম্ন কক্ষে ৷
মণিপুর ইস্যু নিয়ে মুখ খোলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সময় ক্রমাগত হৈ-হট্টগোল করে যায় বিরোধীরা ৷ কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ-সহ অন্যরা ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ করেন ৷ দলীয় সাংসদদের ওয়েলে নামায় ইন্ধন জোগানোর জন্য বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধিকে তিরস্কারও করেন স্পিকার ৷