নয়াদিল্লি, 27 এপ্রিল: সাংবিধানিক কাঠামো এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের উপর ভিত্তি করে গণতন্ত্রের যে নীতি তৈরি হয়েছে, সেই নীতির উপর আঘাত হেনেছে তাঁর গ্রেফতারি ৷ শনিবার সুপ্রিম কোর্টে এমনই দাবি করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ৷
তাঁকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট দিল্লির আবগারী নীতি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করেছে ৷ সেই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে মামলা করেছেন কেজরিওয়াল ৷ সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়েছে ইডি ৷ সেই হলফনামার পালটা জবাবে শনিবার কেজরিওয়ালের তরফে এই কথা জানানো হয়েছে ৷ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আবারও তাঁর গ্রেফতারিকে অবৈধ বলে দাবি করেছেন ৷ তাছাড়া এই নিয়ে ইডির তদন্তকে ‘সবচেয়ে উচ্চমানের পদ্ধতি’ বলেও তিনি কটাক্ষ করেন ৷
কেজরিওয়ালের আরও দাবি, তিনি তদন্তে সহযোগিতা করেছেন বরাবর ৷ যতবার তাঁকে সমন পাঠানো হয়েছে, প্রতিবারই তিনি যথাযথ নিয়ম মেনে সমন পাঠানোর কারণ জানতে চেয়েছেন ৷ কিন্তু সেই বিষয়ে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি ৷ বরং সমস্ত তথ্য গোপনীয় বলে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে ৷
তাঁর অভিযোগ, এক্ষেত্রে সঠিক কত টাকার লেনদেন হয়েছে, তা এখনও সামনে আসেনি ৷ কোথা থেকে টাকা এসেছে, গ্রেফতারির আগে তা খতিয়ে দেখাও হয়নি ৷ এমনকী, দক্ষিণ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে টাকা নেওয়া, সেই টাকা গোয়ার নির্বাচনে ব্যবহার করার অভিযোগ সংক্রান্ত কোনও প্রমাণ নেই ৷ শুধু জল্পনার ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷
সুপ্রিম কোর্টের কাছে কেজরিওয়াল আরও জানিয়েছেন, নির্বাচনের সময় তাঁর এই গ্রেফতারি আম আদমি পার্টি (আপ)-র উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে ৷ এতে কেন্দ্রের শাসক দল সুবিধা পাচ্ছে ৷ কেন্দ্রের শাসক দল এক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে ৷
ইডির তরফে অবশ্য কেজরিওয়ালকে এই দুর্নীতির মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে ৷ সেখানে আরও জানানো হয়েছে যে এই গ্রেফতারি কখনও অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে বাধা দিতে পারে না ৷ প্রমাণ ছাড়া কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়নি ৷
উল্লেখ্য়, দিল্লির আবগারী দুর্নীতি মামলায় গত 21 মার্চ গ্রেফতার করা হয় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ৷ আপাতত তিনি তিহাড় জেলে রয়েছেন ৷ জামিনের জন্য তিনি প্রথমে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেন ৷ দিল্লি হাইকোর্ট তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয় ৷ পরে তিনি আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টে ৷ তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে ইডির জবাব তলব করে সর্বোচ্চ আদালত ৷ ইডির সেই জবাবের আবার পালটা উত্তর দিয়েছেন কেজরিওয়াল ৷
আরও পড়ুন: