কাসারাগোদ (কেরল), 13 জুন: ক্ষণিকের বুদ্ধি ও চিন্তাশক্তির জেরে প্রাণ রক্ষা হল কেরলের বাসিন্দা নলিনাক্ষণের ৷ তিনি কুয়েতের সেই আবাসনে ছিলেন, যেখানে লাগা ভয়াবহ আগুনে চল্লিশের বেশি ভারতীয়-সহ অসংখ্য মানুষের প্রাণ গিয়েছে ৷ সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী, নলিনাক্ষণ কুয়েতের ওই আবাসনের চারতলার ফ্ল্যাটে আটকে পড়েছিলেন অগ্নিকাণ্ডের সময় ৷ সেই সময় প্রাণ বাঁচাতে তিনি দুঃসাহসিক একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ৷ ক্ষণিকের সেই সিদ্ধান্তের কারণে, আজ জীবিত উত্তর কেরলের বাসিন্দা নলিনাক্ষণ ৷
কী এমন করেছিলেন তিনি ? নলিনাক্ষণ জানিয়েছেন, তিনি বিল্ডিংয়ের পাশের একটি জলের ট্যাংকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ৷ যদিও, তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে, শরীরে একাধিক আঘাত ও ভাঙা পাঁজর-সহ ৷ এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভরতি নলিনাক্ষণ ৷ তবে, ভয়াবহ এই বিপর্যয়ে প্রাণহানি থেকে বেঁচে গিয়েছেন তিনি ৷ জানা গিয়েছে, তাঁর আত্মীয় স্বজন কাছাকাছি এলাকাতেই থাকতেন ৷ তাঁরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং নলিনাক্ষণকে উদ্ধার করে কুয়েতের হাসপাতালে ভরতি করান ৷ তা না হলে, আবাসন থেকে জলের ট্যাংকে ঝাঁপ দেওয়ার জেরে লাগা আঘাতের কারণে প্রাণ খোয়াতে হত তাঁকে ৷
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে নলিনাক্ষণের আত্মীয় বালাকৃষ্ণন বলেন, "আমরা বুধবার বেলা 11টার সময় ভয়াবহ ওই সংবাদ পাই ৷ ও জলের ট্যাংকের উপর লাফ দিয়েছিল ৷ কিন্তু, সেখান থেকে নড়তে পারেনি ৷ আমাদের আত্মীয়রা ওকে খুঁজে বের করেন এবং দ্রুত হাসপাতালে ভরতি করায় ৷" তাঁরা জানিয়েছেন, নলিনাক্ষণের সঙ্গে তাঁদের বেশি কথা হয়নি ৷ দুর্ঘটনার পর, তাঁর মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল ৷ চোটের ক্ষত সারিয়ে দ্রুত তাঁর অস্ত্রোপচার হবে ৷ তবে, কুয়েতের খুব ভালো হাসপাতালে তাঁকে ভরতি করানো হয়েছে ৷ যেখানে প্রতিনিয়ত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে নলিনাক্ষণকে ৷ উল্লেখ্য, কুয়েতের ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত কেরলের 24 জন মারা গিয়েছেন ৷