বারাণসী, 4 মার্চ: এবছরের মহাশিবরাত্রিতে পুণ্যার্থীদের জন্য নতুন রেকর্ড তৈরি হতে চলেছে কাশীতে ৷ শ্রী কাশী বিশ্বনাথ মন্দির প্রশাসন মহাশিবরাত্রিতে দশ লাখেরও বেশি ভক্তের সমাগম হওয়ার সম্ভাবনা প্রকাশ করেছে ৷ মহাশিবরাত্রিতে বিপুল ভিড়ের পরিপ্রেক্ষিতে মন্দির প্রশাসন সকল পুণ্যার্থীর জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে ৷ যেখানে পুণ্যার্থীদের দর্শনের সুবিধার জন্য টিকিটের ব্যবস্থা বন্ধ রাখা হবে ৷ যাতে সহজে পুণ্যার্থীরা শিবরাত্রির পুজো দিতে পারে ৷
সেই সঙ্গে কাশী বিশ্বনাথের স্পর্শ দর্শন বন্ধ রাখা হবে ৷ শুধুমাত্র বিশ্বনাথ দেবের মুখমণ্ডলের দর্শনের ব্যবস্থা থাকবে ৷ একটানা 36 ঘণ্টা চলবে দর্শন ও পুজো ৷ মন্দির প্রশাসন নিশ্চিত করেছে যে, নিরাপত্তা কর্মী এবং মন্দিরের কর্মীরা ভক্তদের সঙ্গে ভদ্র আচরণ করবেন ৷ তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তা নজর রাখবে প্রশাসন ও মন্দির কর্তৃপক্ষ ৷ এবার মহাশিবরাত্রিতে এটাই মন্দির প্রশাসনের প্রথম অগ্রাধিকার ৷ তিন দশক পর এটিই হবে প্রথম মহাশিবরাত্রি, যখন ভক্তরা এই দিনে ব্যাস জির বেসমেন্টে বিশ্বনাথ দেবের দর্শন করতে পারবেন ৷
মহাশিবরাত্রির আগে, 4, 5 এবং 6 মার্চ শ্রী কাশী বিশ্বনাথ মন্দির কমপ্লেক্সে একটি সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়েছে ৷ মন্দিরের প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা জানান, সংস্কৃতি বিভাগের সৌজন্যে বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রধান চত্বরে এই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হচ্ছে ৷ তিনি বলেন, "মোবাইল ফোন, ক্যামেরা ইত্যাদি যে কোনও ধরনের ইলেকট্রনিক সামগ্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হবে ৷ অতএব, আপনি যদি দর্শনে যান, আপনার হোটেলে বা যেখানেই থাকুন না কেন, আপনার মোবাইল রেখে আসবেন ৷ ইলেকট্রনিক ঘড়ি, কলম এসব কিছুর ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা থাকবে ৷ 8 মার্চ সকালে মঙ্গল আরতির পর 36 ঘণ্টা একটানা দর্শন ও পুজো চলবে ৷
আরও পড়ুন: