রাঁচি, 13 নভেম্বর: কড়া নিরাপত্তায় চলছে ঝাড়খণ্ডের বিধানসভার নির্বাচন ৷ সকাল 7টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ ৷ চলবে বিকেল 5টা পর্যন্ত ৷ তবে 15 হাজার 344টি বুথের মধ্যে 950টি বুথে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল 4টে পর্যন্ত ৷ নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বিকেল 5টা পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডে ভোট পড়েছে 64.86 শতাংশ ৷
বুধবার প্রথম পর্যায়ের নির্বাচনে মাওবাদী অধ্যুষিত এই রাজ্যের 81টি আসনের মধ্য়ে 43টি আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে নির্ধারিত সময় সকলা 7টায় ৷ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন ও প্রাক্তন সাংসদ-সহ মোট 683 জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে আজ ৷
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার প্রথম পর্যায়ের নির্বাচনে মোট 1 কোটি 37 লক্ষ ভোটার রয়েছে ৷ মুখ্য় নির্বাচনী আধিকারিক কে রবি কুমার জানিয়েছেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট প্রক্রিয়ার জন্য় কমিশনের তরফে সমস্তরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ৷ সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান, 1 হাজার 152টি বুথ সম্পূর্ণভাবে পরিচালনা করছেন মহিলারা ৷ অন্যদিকে, 24টি বুথ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন বিশেষভাবে সক্ষম ভোট কর্মীরা ৷
झारखंड विधानसभा चुनाव में आज पहले दौर की वोटिंग है। सभी मतदाताओं से मेरा आग्रह है कि वे लोकतंत्र के इस उत्सव में पूरे उत्साह के साथ मतदान करें। इस मौके पर पहली बार वोट देने जा रहे अपने सभी युवा साथियों को मेरी बहुत-बहुत बधाई! याद रखें- पहले मतदान, फिर जलपान!
— Narendra Modi (@narendramodi) November 13, 2024
এদিকে, ভোট প্রক্রিয়া শুরু হতেই ঝাড়খণ্ডবাসীর উদ্দেশ্য়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ প্রথম ভোটারদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি ৷
উল্লেখ্য়, প্রথম দফার নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্য রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী চম্পাই সোরেন, প্রাক্তন সাংসদ গীতা কোরা, রামেশ্বর ওরাঁও, পূর্ণিমা সাহু দাস, মীরা মুণ্ডা, প্রাক্তন আইপিএস অজয় ও সরযু রায় ৷ নির্বাচনের ঠিক আগে ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চা (জেএমএম) ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন চম্পাই সোরেন ৷ সেরাইকেলা আসন থেকে এবারের নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে লড়ছেন তিনি ৷
একদিকে, জেএমএম জোট সরকারের ক্ষমতা ধরে রাখার লড়াই ৷ অন্যদিকে, বিজেপির ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে জমে উঠেছে ঝাড়খণ্ডের এবারের নির্বাচন ৷ ভোটের প্রচারে এসে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ও তাঁর দল জেএমএম-এর বিরুদ্ধে জমি অধিগ্রহণ, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের মদত দেওয়ার মতো একাধিক অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, এমনকী পড়শি রাজ্যে অসমের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ৷
আবার, বিজেপির বিরুদ্ধে সিবিআই, ইডি-এর মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিদের দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার অভিযোগ তুলেছে 'ইন্ডিয়া' জোটের নেতৃত্ব ৷ যদিও দু'পক্ষের এই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে কে বাজিমাত করবে ? উত্তর পাওয়া যাবে 23 নভেম্বর ৷