ETV Bharat / bharat

ফের অশান্ত মণিপুর, চুরাচন্দপুরে এসপি'র কার্যালয়ে তাণ্ডব! বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা

Manipur Violence: এক হেড কনস্টেবলের সাসপেনশন ঘিরে আবারও উত্তেজনা ছড়াল মণিপুরের চুরাচন্দপুরে ৷ 300-400 জনের বিক্ষুব্ধ দল এসপি-র অফিসে তাণ্ডব চালানোর চেষ্টা করে ৷ এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, একজন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে ৷

ETV Bharat
মণিপুরে ফের সংঘর্ষ
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 16, 2024, 10:44 AM IST

ইম্ফল, 15 ফেব্রুয়ারি: ফের উত্তপ্ত মণিপুর ৷ এক কনস্টেবলের সাসপেনশনকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে আমজনতার সংঘর্ষ বাধে ৷ বৃহস্পতিবার রাতে রাজ্যের চুরাচন্দপুরে এসপি এবং ডিসির কার্যালয়ে হামলা চালায় একদল উন্মত্ত জনতা ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় 300-400 জন সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশের কার্যালয়ে ভাঙচুরের চেষ্টা করে ৷ গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়, সরকারি সম্পত্তিতে তছনছ করে ৷ এই অবস্থায় চুরাচন্দপুরে আগামী পাঁচ দিনের জন্য ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন ৷

এই সংঘর্ষের সূত্রপাত চুরাচন্দপুর জেলার এক হেড কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা নিয়ে ৷ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁকে কয়েকজন সশস্ত্র লোকের সঙ্গে দেখা গিয়েছে ৷ একটি ভিডিয়ো ক্লিপে সেই দৃশ্য ধরা পড়েছে ৷ তাঁর সাসপেনশন তুলে নেওয়ার দাবিতে বিক্ষুব্ধ জনতা এসপি-র কার্যালয়ে চড়াও হয় ৷ পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিক্ষুব্ধ জনতা নিরাপত্তাবাহিনীর অনেকগুলি বাস, ট্রাক জ্বালিয়ে দেয় ৷ সেই সময় প্রতিবাদকারীদের রুখতে নিরাপত্তাবাহিনী কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে ৷ এখনও পরিস্থিতি উত্তপ্ত রয়েছে ৷

মণিপুর পুলিশও সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে জানিয়েছে, "300-400 জনের একটি দল এসপির অফিসে তাণ্ডব চালানোর চেষ্টা করে ৷ তারা পাথর ছুড়তে থাকে ৷ ওই জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে ব়্যাফ নামানো হয় ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে ৷" এই বিবৃতিতেই জানানো হয়, চুরাচন্দপুর জেলা পুলিশের কনস্টেবল সিয়ামলালপলের বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ একটি ভিডিয়ো দেখা যাচ্ছে, 14 ফেব্রুয়ারি তিনি কয়েকজন অস্ত্রধারী নাগরিকের সঙ্গে ভিডিয়ো তৈরি করছেন ৷ সিয়ামলালপলকে বিনা অনুমতিতে রাজ্য থেকে বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে ৷

এদিকে ইন্ডিজেনাস ট্রাইবাল লিডার্স ফোরাম বা আইটিএলএফ এই ঘটনার জন্য এসপি শিবাবনন্দকেই দায়ী করেছে ৷ এই ফোরাম একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, "এসপি স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজকর্ম করছেন না ৷ আমরা তাঁকে কোনও আদিবাসী এলাকায় থাকতে দেব না ৷ তাঁকে এখনই ওই কনস্টেবলের উপর থেকে সাসপেনশন তুলে নিতে হবে ৷ আর 24 ঘণ্টার মধ্যে এই জেলা ছেড়ে চলে যেতে হবে ৷ তা না-হলে, ভবিষ্যতে যে কোনও রকমের পরিস্থিতির জন্য এসপি শিবানন্দ সার্ভে দায়ী থাকবেন ৷"

এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে ৷ এই সংঘর্ষের ঘটনায় অন্ততপক্ষে 30 জন আহত হয়েছে ৷ তিনি জানিয়েছেন, এসপি শিবানন্দ সার্ভে হেড কনস্টেবল সিয়ামলালপলকে সাসপেন্ড করেন ৷ সেই নির্দেশ সোশাল মিডিয়া গ্রুপে ছড়িয়ে পড়ে ৷ এরপরই প্রায় 300-400 জন বিক্ষুব্ধ জনতার একটি দল এসপির কার্যালয়ে চড়াও হয় ৷

আরও পড়ুন:

  1. মণিপুরে সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিদের হামলায় নিহত পুলিশকর্মী
  2. ভারত-মায়ানমার সীমান্তে সঙ্গীদের গুলি করল অসম রাইফেলসের জওয়ান, জখম 6
  3. দুই জঙ্গিগোষ্ঠীর গুলির লড়াইয়ে মণিপুরে 13 জনের মৃত্যু

ইম্ফল, 15 ফেব্রুয়ারি: ফের উত্তপ্ত মণিপুর ৷ এক কনস্টেবলের সাসপেনশনকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে আমজনতার সংঘর্ষ বাধে ৷ বৃহস্পতিবার রাতে রাজ্যের চুরাচন্দপুরে এসপি এবং ডিসির কার্যালয়ে হামলা চালায় একদল উন্মত্ত জনতা ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় 300-400 জন সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশের কার্যালয়ে ভাঙচুরের চেষ্টা করে ৷ গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়, সরকারি সম্পত্তিতে তছনছ করে ৷ এই অবস্থায় চুরাচন্দপুরে আগামী পাঁচ দিনের জন্য ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন ৷

এই সংঘর্ষের সূত্রপাত চুরাচন্দপুর জেলার এক হেড কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা নিয়ে ৷ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁকে কয়েকজন সশস্ত্র লোকের সঙ্গে দেখা গিয়েছে ৷ একটি ভিডিয়ো ক্লিপে সেই দৃশ্য ধরা পড়েছে ৷ তাঁর সাসপেনশন তুলে নেওয়ার দাবিতে বিক্ষুব্ধ জনতা এসপি-র কার্যালয়ে চড়াও হয় ৷ পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিক্ষুব্ধ জনতা নিরাপত্তাবাহিনীর অনেকগুলি বাস, ট্রাক জ্বালিয়ে দেয় ৷ সেই সময় প্রতিবাদকারীদের রুখতে নিরাপত্তাবাহিনী কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে ৷ এখনও পরিস্থিতি উত্তপ্ত রয়েছে ৷

মণিপুর পুলিশও সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে জানিয়েছে, "300-400 জনের একটি দল এসপির অফিসে তাণ্ডব চালানোর চেষ্টা করে ৷ তারা পাথর ছুড়তে থাকে ৷ ওই জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে ব়্যাফ নামানো হয় ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে ৷" এই বিবৃতিতেই জানানো হয়, চুরাচন্দপুর জেলা পুলিশের কনস্টেবল সিয়ামলালপলের বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ একটি ভিডিয়ো দেখা যাচ্ছে, 14 ফেব্রুয়ারি তিনি কয়েকজন অস্ত্রধারী নাগরিকের সঙ্গে ভিডিয়ো তৈরি করছেন ৷ সিয়ামলালপলকে বিনা অনুমতিতে রাজ্য থেকে বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে ৷

এদিকে ইন্ডিজেনাস ট্রাইবাল লিডার্স ফোরাম বা আইটিএলএফ এই ঘটনার জন্য এসপি শিবাবনন্দকেই দায়ী করেছে ৷ এই ফোরাম একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, "এসপি স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজকর্ম করছেন না ৷ আমরা তাঁকে কোনও আদিবাসী এলাকায় থাকতে দেব না ৷ তাঁকে এখনই ওই কনস্টেবলের উপর থেকে সাসপেনশন তুলে নিতে হবে ৷ আর 24 ঘণ্টার মধ্যে এই জেলা ছেড়ে চলে যেতে হবে ৷ তা না-হলে, ভবিষ্যতে যে কোনও রকমের পরিস্থিতির জন্য এসপি শিবানন্দ সার্ভে দায়ী থাকবেন ৷"

এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে ৷ এই সংঘর্ষের ঘটনায় অন্ততপক্ষে 30 জন আহত হয়েছে ৷ তিনি জানিয়েছেন, এসপি শিবানন্দ সার্ভে হেড কনস্টেবল সিয়ামলালপলকে সাসপেন্ড করেন ৷ সেই নির্দেশ সোশাল মিডিয়া গ্রুপে ছড়িয়ে পড়ে ৷ এরপরই প্রায় 300-400 জন বিক্ষুব্ধ জনতার একটি দল এসপির কার্যালয়ে চড়াও হয় ৷

আরও পড়ুন:

  1. মণিপুরে সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিদের হামলায় নিহত পুলিশকর্মী
  2. ভারত-মায়ানমার সীমান্তে সঙ্গীদের গুলি করল অসম রাইফেলসের জওয়ান, জখম 6
  3. দুই জঙ্গিগোষ্ঠীর গুলির লড়াইয়ে মণিপুরে 13 জনের মৃত্যু
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.