নয়াদিল্লি, 14 এপ্রিল: কয়েকশো ড্রোন-ব্যালিস্টিক মিসাইল দিয়ে ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান ৷ এর ফলে ইউক্রেনের পর ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে ৷ এই পরিস্থিতিতে সাময়িকভাবে ইজরায়েলের তেল আভিভ থেকে নয়াদিল্লিতে আসা-যাওয়ার সমস্ত উড়ান পরিষেবা বন্ধের ঘোষণা করতে পারে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলি ৷ এমনটাই সম্ভাবনার কথা জানা যাচ্ছে বিমান সংস্থা সূত্রে ৷
এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান শনিবার নিরাপদে তেল আভিভ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে এবং তেল আভিভ থেকে ভারতে আসার কথা রয়েছে সেটির । দুটি প্রধান বিমান সংস্থা, এল আল এবং এয়ার ইন্ডিয়া, ইজরায়েল এবং ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক বিমান পরিষেবা পরিচালনা করছে । ভারতের দুটি প্রধান বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া ও ভিস্তারা ইরানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার ঘোষণা করেছে এবং যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তাদের ইউরোপ ও মার্কিন মুলুকের উপর দিয়ে দীর্ঘতর বিমান পথ অনুসরণ করতে বলেছে ।
ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার কারণে বিমানের পথ পরিবর্তনের বিষয়ে ভিস্তারা এয়ার একটি বিবৃতি জারি করেছে । বিবৃতিতে ভিস্তারা বলেছে, বর্তমান পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যের কিছু অংশকে প্রভাবিত করার কারণে আমরা আমাদের কিছু বিমানের পথ পরিবর্তন করছি । কন্টিনজেন্সি রুটগুলি, যা এই ধরনের ঘটনার সময় অপারেশনাল ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার জন্য উপলব্ধ রাখা হয়, পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে ৷
ভিস্তারা বিমান সংস্থা স্বীকার করেছে যে এটি একটি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে দীর্ঘ রুট গ্রহণ করবে ৷ যার ফলে গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য ভ্রমণের সময় বৃদ্ধি পাবে ৷ এর ফলে নির্দিষ্ট রুটে ফ্লাইটের সময় বেশি হতে পারে এবং বিলম্ব হতে পারে । ভিস্তারার একজন মুখপাত্র বলেছেন, "পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে আরও পরিবর্তন করা হবে ।"
12 এপ্রিল বিদেশ মন্ত্রক ভারতীয় নাগরিকদের জন্য একটি ভ্রমণ নির্দেশিকা জারি করেছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না-দেওয়া পর্যন্ত উভয় দেশে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলেছে । মন্ত্রক আরও বলেছে, যারা বর্তমানে ইরান বা ইজয়ায়েলে রয়েছেন তাদের ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে এবং নিজেদের রেজিস্ট্রেশন করতে বলেছে ।
ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলছে ৷ এরই মধ্যে ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে । সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কাসে ইরানি দূতাবাসে ইজরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছিল ৷ যাতে কমপক্ষে সাতজন আধিকারিকের মৃত্যু হয় ৷ সেই হত্যাকাণ্ডের তেহরান প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছিল। এরপরেই ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান ৷
আরও পড়ুন: