গুয়াহাটি, 24 ফেব্রুয়ারি: অসম সরকার শুক্রবার ঐতিহাসিক একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অসমের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার এবার মুসলিম বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে অসম নিবন্ধন আইন (1935) বাতিল করল। এদিন রাজধানী দিসপুরের জনতা ভবনে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। রাজ্য সরকারের মুখপাত্র এবং মন্ত্রী জয়ন্ত মল্লবরুয়ার মতে অভিন্ন নাগরিক বিধি কার্যকর করার লক্ষ্যেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এদিন জয়ন্ত মল্লবরুয়া বলেন, "এখন থেকে নতুন নিয়মের অধীনে, মুসলিম বিবাহ এবং তালাক রেজিস্ট্রির দায়িত্ব জেলা প্রশাসক এবং জেলা রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে থাকবে। রাজ্যের 94 জন মুসলিম রেজিস্ট্রার, যাঁদের আগের আইনের অধীনে নিয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদেরও সেই পদ থেকে অব্য়াহতি দেওয়া হবে। প্রত্যেককে এককালীন দু'লাখ টাকাও দেওয়া হবে।"
রাজ্যের মন্ত্রী আরও বলেন, "সরকারের এই পদক্ষেপ বিশেষ করে বাল্যবিবাহ রদের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।" অসম সরকারের এই পুরানো আইন বাতিল করার যুক্তিগুলির মধ্যে একটি হল, এটি তৎকালীন অসম রাজ্যের জন্য ব্রিটিশদের দ্বারা প্রণীত দেশের প্রাক-স্বাধীনতা যুগের একটি আইন। মন্ত্রী আরও জানান, অসম সরকার এই আইন বাতিল করে মহিলাদের জন্য 18 বছরের কম বয়সি এবং পুরুষদের জন্য 21 বছরের কম বয়সিদের বিবাহের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা করবে ৷ একই সঙ্গে, এই সমস্যা সমাধানের জন্যও এগিয়ে যাচ্ছে সরকার।
উত্তরাখণ্ড ইউনিফর্ম সিভিল কোড পাশ করা প্রথম রাজ্য হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরে অসম সরকারের পদক্ষেপটি সমগ্র দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা 12 ফেব্রুয়ারি মিডিয়ার সামনে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, রাজ্যে ইউসিসি আইন লাগু করতে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও পড়ুন
29 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত 'দিল্লি চলো' অভিযান, কৃষক সংগঠনগুলির ডাকে আজ মোমবাতি মিছিল
'রাহুলই আমাদের নেতা', পদ্ম-যোগের জল্পনার মাঝেই ন্যায় যাত্রার সমর্থনে বললেন কমলনাথ