নয়াদিল্লি, 10 মে: সাইবার-অপরাধ এবং আর্থিক জালিয়াতিতে টেলিকম সংস্থাগুলির অপব্যবহার রুখতে একযোগে নয়া অভিযান শুরু করল টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ (ডট), কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও রাজ্য পুলিশ ৷ যোগাযোগ মন্ত্রকের জারি করা একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ডট 28,200টি মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্লক করার জন্য এবং সংশ্লিষ্ট 20 লক্ষ মোবাইল সংযোগ পুনরায় যাচাই করার জন্য নির্দেশ জারি করেছে । কেন্দ্রীয় সরকার আরও বলেছে যে, এই সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার লক্ষ্য হল, প্রতারকদের নেটওয়ার্ক ধ্বংস করা এবং নাগরিকদের ডিজিটাল হুমকি থেকে রক্ষা করা ।
সরকারের মতে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং রাজ্য পুলিশ একটি বিশ্লেষণ করে দেখেছে যে, 28,200টি মোবাইল হ্যান্ডসেট বিভিন্ন ধরনের সাইবার অপরাধে অপব্যবহার করা হয়েছে । এই রিপোর্ট পাওয়ার পর ডট আরও বিশ্লেষণ করে দেখেছে যে, এই মোবাইল হ্যান্ডসেটগুলির সঙ্গে 20 লক্ষ নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে । পরবর্তীকালে ডট দেশ 28,200 মোবাইল হ্যান্ডসেটকে ব্লক করার জন্য এবং এই মোবাইল হ্যান্ডসেটের সঙ্গে সংযুক্ত 20 লক্ষ মোবাইল সংযোগকে অবিলম্বে পুনরাই যাচাই করার জন্য এবং তাতে ব্যর্থ হলে সেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য টেলিকম পরিষেবা প্রদানকারীদের নির্দেশ জারি করেছে ।
কেন্দ্রীয় সরকার 2019 সালে জাতীয় সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টাল চালু করেছে, যার মাধ্যমে মানুষজন সাইবার জালিয়াতির ঘটনাগুলি সম্পর্কে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন ৷
প্রাক্তন আইপিএস এবং সাইবার বিশেষজ্ঞ ত্রিবেণী সিং ইটিভি ভারতকে বলেন যে, সরকারের পদক্ষেপগুলি সাইবার জালিয়াতি করছে এমন চক্রের মনোবল হ্রাস করবে ৷ তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, সরকার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সাইবার জালিয়াতি সম্পর্কিত অভিযোগগুলি জানানো মানুষের জন্য সহজ করেছে, যার ফলে একটি উল্লেখযোগ্য ডেটা ব্যাংক জমা হয়েছে । এই ডেটা ব্যাংক বড় সাইবার অপরাধীদের ধরতে সহায়ক হয়ে উঠছে, যা ভবিষ্যতে সাইবার অপরাধ বন্ধ করতে সাহায্য করবে ।
প্রাক্তন জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা সমন্বয়কারী রাজেশ পন্ত একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, অপরাধীদের দমনের জন্য এটি একটি চমৎকার পদক্ষেপ ৷ সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন তিনি । তবে তিনি দেশে সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন । পন্ত উল্লেখ করেছেন যে বর্তমানে, সাইবার অপরাধীরা প্রায়শই সহজে জামিন পান এবং জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পরে প্রমাণ মুছে ফেলতে পারেন ৷ যা একটা বড় চ্যালেঞ্জ । তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, আইন প্রণয়নে কঠোরতা বৃদ্ধি করা হলে এই ধরনের অপরাধ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে ।
আরও পড়ুন: