নয়াদিল্লি, 3 নভেম্বর: দিল্লির কীর্তিনগরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ! কাঠের আসবাবপত্রের একটি মার্কেটের একটি দোকানে এই আগুন লাগে রবিবার ভোরবেলায় ৷ যে দোকানে আগুন লাগে, তার দুই কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে ৷ জানা গিয়েছে, রাতে দোকানের ভিতরে ঘুমচ্ছিলেন তাঁরা ৷ সেই সময় আগুন লেগে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের ৷ আগুন লাগার কারণ, তদন্ত করে দেখছে পুলিশ ও দমকল ৷
জানা গিয়েছে, কাঠের আসবাবপত্রের দোকানের ছাদের একটি ঘর থেকে ভোর চারটে নাগাদ আগুন ও কালো ধোঁয়া বেরতে দেখা যায় ৷ ভোরবেলা হওয়ায়, খুব কম লোকজন সেখানে ছিলেন ৷ তাঁরাই প্রথমে পুলিশে ও পরে দমকলে খবর দেন ৷ মোট সাতটি দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে ৷ বেশ কয়েকঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় ৷ এরপর দোকানের ভিতরে দমকলের লোকজন ঢুকলে, দু’জনের অগ্নিদগ্ধ দেহ দেখতে পান তাঁরা ৷
জানা গিয়েছে, দোকানের ওই ঘরে দুই কর্মচারী থাকতেন ৷ তাঁরাই রাতে ঘুমচ্ছিলেন ভিতরে ৷ আগুন লাগায় তাঁরা কেউ বাইরে বেরিয়ে আসতে পারেনি ৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই দুই ব্যক্তির মৃত্যু ধোঁয়ায় দমবন্ধ হওয়ার কারণে হয়েছে ৷ তারপরে আগুনে তাঁদের দেহ ঝলসে গিয়েছে ৷ যদিও, পুরো বিষয়টি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই জানা যাবে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ ৷
নিহতদের পরিচয় জানা গিয়েছে ৷ তাঁরা হলেন অতুল রাই, বয়স 45 বছর এবং নন্দ কিশোর, বয়স 65 বছর ৷ অতুল ওই দোকানের কাঠের মিস্ত্রির কাজ করতেন আর নন্দ কিশোর আসবাবপত্র বহনের কাজ করতেন দোকানে ৷ আগুন লাগার সঠিক কারণ জানতে, ঘটনাস্থলে দিল্লির এফএসএল টিমকে ডাকা হয়েছে ৷
উল্লেখ্য, ওই মার্কেটে একাধিক কাঠের আসবাবপত্রের দোকান রয়েছে, যার মধ্যে একাধিক কাঠের গুদামও রয়েছে ৷ সেখানে আসবাবপত্র তৈরির কাজও হতো ৷ ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়লে, তা নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়ত বলে জানিয়েছে দমকল কর্তৃপক্ষ ৷