ETV Bharat / bharat

নাবালক সন্তানের প্রাকৃতিক অভিভাবক বাবা, তাঁর অভিভাবকত্ব অস্বীকার করা যাবে না: সুপ্রিম কোর্ট - natural guardian of a minor child

Father's Eligibility As Natural Guardian For A Minor Child: কোভিড-19 সংক্রমণের কারণে সন্তানের জন্মের 10 দিনের মধ্যে ওই শিশুটির মা মারা যায় ৷ এর পরেই শিশুটিকে নিজেদের কাছে রেখেছিল ওই ব্যক্তির পরিবারের অন্যান্যরা ৷ বাবা তাঁর নাবালিকা কন্যার অভিভাবকত্ব চেয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন ।

Supreme Court
সুপ্রিম কোর্ট (ফাইল চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 21, 2024, 6:22 PM IST

নয়াদিল্লি, 21 অগস্ট: একজন বাবা সন্তানের প্রাকৃতিক অভিভাবক ৷ সুতরাং, নাবালক সন্তানকে বাবার কাছে রাখতে হবে ৷ এমনই নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের ৷ এক বাবা তাঁর নাবালিকা কন্যার অভিভাবকত্ব চেয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলাতেই এই নির্দেশ শার্ষ আদালতের ৷

কোভিড-19 সংক্রমণের কারণে সন্তানের জন্মের 10 দিনের মধ্যে ওই শিশুটির মা মারা যায় ৷ এর পরেই শিশুটিকে নিজেদের কাছে রেখেছিল ওই ব্যক্তির পরিবারের অন্যান্যরা ৷ বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ সেই মামলায় জানিয়েছে, "আমাদের মতে, শুধুমাত্র আবেদনকারী পিতা যে দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন তার ফলেই বাচ্চার দেখভালের দায়িত্ব বোনদের দেওয়া হয়েছিল ৷ মাত্র কয়েক বছর ধরে তার দেখাশোনা করেছে ৷ কিন্তু, সেই কারণে আবাদনকারীর কাছে নাবালক শিশুর অভিভাবকত্ব দেওয়া যাবে না ৷ যিনি ওই শিশুর একমাত্র প্রাকৃতিক অভিভাবক।"

শীর্ষ আদালত দুই মহিলাকে অবিলম্বে আবেদনকারী গৌতম কুমার দাসের কাছে শিশুর অভিভাবকত্ব হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি গাভাই বলেছেন, "আমরা দেখেছি যে, আবেদনকারী প্রাকৃতিক অভিভাবক হওয়া ছাড়াও, এমনকি নাবালক শিশুর কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য, তার স্বাভাবিক পরিবারের সঙ্গেই থাকা উচিত ৷"

বিচারপতি গাভাই মঙ্গলবার রায়ে জানিয়েছেন, নাবালক শিশুটির কোমল বয়স ৷ এখনও সে খুব অল্প সময়ের মধ্যে তার স্বাভাবিক পরিবারের সঙ্গে খুব ভালভাবেই মানিয়ে নেবে। অন্যদিকে, বেঞ্চ শিশুটির সঙ্গে দেখা করার জন্য ভগ্নিপতিদেরও অনুমতি দিয়েছে ৷ বেঞ্চ এও জানিয়েছে, ভারতের সংবিধানের 226 অনুচ্ছেদের অধীনে রিট আদালতের এখতিয়ার প্রয়োগ করা উচিত কিনা, তা প্রতিটি মামলার তথ্য ও পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। বেঞ্চ জানিয়েছে, আবেদনকারীর বিরুদ্ধে ভগ্নিপতির অভিযোগ এবং উদ্বিগ্নতা দেখে মনে হচ্ছে, সেগুলি শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট চিন্তাভাবনা থেকে তৈরি হয়েছে ৷ বিশেষত, আবেদনকারী তাঁর নাবালিকা কন্যার অভিভাবকত্বে দাবি করার পরেই সেই অভিযোগ সামনে এসেছে।

সন্তানের যত্ন নেওয়ার জন্য পিতার সুস্থতা সম্পর্কে বেঞ্চ জানিয়েছে, "তিনি সুশিক্ষিত এবং বর্তমানে দিল্লির সেন্ট্রাল ওয়ারহাউজিং কর্পোরেশনে উচ্চপদে নিযুক্ত। আবেদনকারীর বাড়িও দিল্লিতে ৷ অন্যদিকে, পরিবারের অন্যান্যরা পশ্চিমবঙ্গের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে বসবাস করছেন ৷" বিচারপতি গাভাই জানিয়েছেন, শিশুটি জন্মের পরেই তার মাকে হারিয়েছে ৷ তাকে তার বাবার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। বিচারপতি গাভাই বলেন, "প্রাসঙ্গিক সময়ে, আবেদনকারীর কাছে তার শিশু সন্তানকে লালনপালনের জন্য তাঁর মৃত স্ত্রীর বোনদের উপর ভরসা করা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না ৷"

নয়াদিল্লি, 21 অগস্ট: একজন বাবা সন্তানের প্রাকৃতিক অভিভাবক ৷ সুতরাং, নাবালক সন্তানকে বাবার কাছে রাখতে হবে ৷ এমনই নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের ৷ এক বাবা তাঁর নাবালিকা কন্যার অভিভাবকত্ব চেয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলাতেই এই নির্দেশ শার্ষ আদালতের ৷

কোভিড-19 সংক্রমণের কারণে সন্তানের জন্মের 10 দিনের মধ্যে ওই শিশুটির মা মারা যায় ৷ এর পরেই শিশুটিকে নিজেদের কাছে রেখেছিল ওই ব্যক্তির পরিবারের অন্যান্যরা ৷ বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ সেই মামলায় জানিয়েছে, "আমাদের মতে, শুধুমাত্র আবেদনকারী পিতা যে দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন তার ফলেই বাচ্চার দেখভালের দায়িত্ব বোনদের দেওয়া হয়েছিল ৷ মাত্র কয়েক বছর ধরে তার দেখাশোনা করেছে ৷ কিন্তু, সেই কারণে আবাদনকারীর কাছে নাবালক শিশুর অভিভাবকত্ব দেওয়া যাবে না ৷ যিনি ওই শিশুর একমাত্র প্রাকৃতিক অভিভাবক।"

শীর্ষ আদালত দুই মহিলাকে অবিলম্বে আবেদনকারী গৌতম কুমার দাসের কাছে শিশুর অভিভাবকত্ব হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি গাভাই বলেছেন, "আমরা দেখেছি যে, আবেদনকারী প্রাকৃতিক অভিভাবক হওয়া ছাড়াও, এমনকি নাবালক শিশুর কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য, তার স্বাভাবিক পরিবারের সঙ্গেই থাকা উচিত ৷"

বিচারপতি গাভাই মঙ্গলবার রায়ে জানিয়েছেন, নাবালক শিশুটির কোমল বয়স ৷ এখনও সে খুব অল্প সময়ের মধ্যে তার স্বাভাবিক পরিবারের সঙ্গে খুব ভালভাবেই মানিয়ে নেবে। অন্যদিকে, বেঞ্চ শিশুটির সঙ্গে দেখা করার জন্য ভগ্নিপতিদেরও অনুমতি দিয়েছে ৷ বেঞ্চ এও জানিয়েছে, ভারতের সংবিধানের 226 অনুচ্ছেদের অধীনে রিট আদালতের এখতিয়ার প্রয়োগ করা উচিত কিনা, তা প্রতিটি মামলার তথ্য ও পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। বেঞ্চ জানিয়েছে, আবেদনকারীর বিরুদ্ধে ভগ্নিপতির অভিযোগ এবং উদ্বিগ্নতা দেখে মনে হচ্ছে, সেগুলি শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট চিন্তাভাবনা থেকে তৈরি হয়েছে ৷ বিশেষত, আবেদনকারী তাঁর নাবালিকা কন্যার অভিভাবকত্বে দাবি করার পরেই সেই অভিযোগ সামনে এসেছে।

সন্তানের যত্ন নেওয়ার জন্য পিতার সুস্থতা সম্পর্কে বেঞ্চ জানিয়েছে, "তিনি সুশিক্ষিত এবং বর্তমানে দিল্লির সেন্ট্রাল ওয়ারহাউজিং কর্পোরেশনে উচ্চপদে নিযুক্ত। আবেদনকারীর বাড়িও দিল্লিতে ৷ অন্যদিকে, পরিবারের অন্যান্যরা পশ্চিমবঙ্গের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে বসবাস করছেন ৷" বিচারপতি গাভাই জানিয়েছেন, শিশুটি জন্মের পরেই তার মাকে হারিয়েছে ৷ তাকে তার বাবার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। বিচারপতি গাভাই বলেন, "প্রাসঙ্গিক সময়ে, আবেদনকারীর কাছে তার শিশু সন্তানকে লালনপালনের জন্য তাঁর মৃত স্ত্রীর বোনদের উপর ভরসা করা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.