কোয়েম্বাটোর, 28 মার্চ: কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন ইরোদের লোকসভা সাংসদ গণেশমূর্তি ৷ তিনি এমডিএমকে দলের সাংসদ ছিলেন ৷ গত রবিবার থেকে কোয়েম্বাটুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল ৷ সেখানে বৃহস্পতিবার ভোর 5টায় তিনি প্রয়াত হন ৷ গণেশমূর্তির স্ত্রী আগেই প্রয়াত হন ৷ তাঁর এক পুত্র ও এক কন্যা আছে ৷
2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে এমডিএমকে-র হয়ে ইরোদ কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন গণেশমূর্তি এবং জয়ী হয়ে সাংসদ নির্বাচন হন ৷ এবার আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ইরোদ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে ডিএমকে ৷ তার বদলে তিরুচি কেন্দ্রটি এমডিএমকে-কে দেয় ৷ সেখানে দল দুরাই ভাইকোকে প্রার্থী করে ৷ ভাইকো এমডিএমকে-এর সাধারণ সম্পাদকের ছেলে ৷ এদিকে গণেশমূর্তি টিকিট পাননি ৷ এর ফলে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে জানা গিয়েছে ৷
গত রবিবার, 24 মার্চ 77 বছর বয়সি সাংসদ গণেশমূর্তি তরল কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ৷ ওই কীটনাশক তাঁর বাড়িতে নারকেল গাছে ব্যবহার করা হয় ৷ ওই বিষাক্ত পদার্থ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন গণেশমূর্তি ৷ তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে কোয়েম্বাটোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানে আইসিইউ-তে তাঁর চিকিৎসা চলছিল ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ভোর 5টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে ৷ দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাংসদের দেহ পেরিয়ার নগরে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে ৷ সেখানে সাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাখা থাকবে ৷
এদিকে সাংসদের মৃত্যুতে এমডিএমকে দলের প্রতিষ্ঠাতা ভাইকো বলেন, "তিনি (গণেশমূর্তি) আসনের ব্যাপারটা নিয়ে খুশি ছিলেন ৷ আমার সঙ্গে দু'বার দেখাও হয়েছে ৷ আমরা একেবারেই আশা করিনি, তিনি এরকম কোনও চরম সিদ্ধান্ত নিতে পারেন ৷ তিনি বেশ খোশমেজাজেই ছিলেন ৷ আমি এখনও বিশ্বাসই করতে পারছি না যে, তাঁর মৃত্যু হয়েছে ৷ আমরা তাঁকে গভীর শ্রদ্ধা জানাই ৷"
ইরোদ টাউন পুলিশ ইতিমধ্যে আত্মহত্যার চেষ্টায় একটি মামলা দায়ের করেছে ৷ এবার সেটি আত্মহত্যায় মৃত্যুর মামলা হবে ৷ ময়নাতদন্তের পর তাঁর দেহ কুমারাভালাসু গ্রামে কবর দেওয়া হবে ৷
আরও পড়ুন: