রাঁচি, 7 মে: ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রী আলমগীর আলমের আপ্তসহায়ক সঞ্জীব লালকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ৷ আর্থিক তছরুপ কাণ্ডে গতকালের পর আজও বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত 32 কোটির বেশি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে ৷ এই ঘটনায় সঞ্জীব লালের পাশাপাশি তাঁর পরিচারককে গ্রেফতার করেছে ইডি ৷ উল্লেখ্য, সঞ্জীবের পরিচারকের ফ্ল্যাট থেকেই এই বিপুল পরিমাণ নগদ উদ্ধার হয়েছে ৷
ইডির একটি সূত্রকে উল্লেখ করে পিটিআই জানিয়েছে, রাতভর সঞ্জীব এবং তাঁর পরিচারককে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয় ৷ জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক অসঙ্গতি মেলায় আজ তাঁদের গ্রেফতার করা হয় ৷ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ ইডির সূত্র জানিয়েছে, দু’জনের কেউই তদন্তে সহযোগিতা করছেন না ৷ এমনকি উদ্ধার হওয়া নগদ নিয়ে ইডি আধিকারিকদের একাধিক প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন সঞ্জীব লাল এবং তাঁর পরিচারক ৷
উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডের গ্রামীণ উন্নয়ন দফতরে অনিয়মের অভিযোগ ও অর্থ পাচারের তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ৷ সেই তদন্তের স্বার্থে সোমবার রাঁচির একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ অভিযোগ সঞ্জীব লালের পরিচারক জাহাঙ্গির আলম ওই ফ্ল্যাটটি জবরদখল করে রেখেছেন ৷ জানা গিয়েছে, রাঁচির গাড়িখানা চকের ফ্ল্যাট থেকে ইডি 32 কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ৷ এর পাশাপাশি অন্য একটি জায়গা থেকে 3 কোটি 23 লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারী সংস্থা ৷
উল্লেখ্য, গ্রামীণ উন্নয়ন দফতরে দুর্নীতির এই তদন্তের জন্য ঝাড়খণ্ডের মুখ্যসচিব নিজে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের কাছে আবেদন করেছিলেন ৷ সেখানে তিনি একটি নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন ৷ রাঁচির ইডি আধিকারিকদের লেখা সেই চিঠিও উদ্ধার হয়েছিল ৷ এই তথ্য সামনে এনেছিলেন গ্রামীণ উন্নয়ন দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার বীরেন্দ্র কুমার রাম ৷ তিনি গতবছর এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন ৷ গতবছর এপ্রিল মাসে ওই আধিকারিকের নিজস্ব ও পরিবারের হিসাব বহির্ভূত প্রায় 39 কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি ৷
আরও পড়ুন: