নয়াদিল্লি, 11 জুন: চিনের সঙ্গে সীমান্তে অবশিষ্ট সমস্যাগুলি সমাধানের দিকে এবার নজর দেবে ভারত ৷ দ্বিতীয়বার বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর মঙ্গলবার এই কথা জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ৷ একই সঙ্গে আগামিদিনে ভারতের বিদেশনীতি কোন পথে এগোবে, সেই বিষয়টিও তিনি তুলে ধরেন ৷ জয়শঙ্করের কথায়, ‘সর্বাগ্রে ভারত’ ও ‘বৈসুধৈব কুটুম্বকমে’র পথেই আগামিদিনে ভারতের বিদেশনীতি এগিয়ে যাবে ৷
নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর যে মন্ত্রিসভা তৈরি করেছেন, সেখানে যে কয়জন আগেরবারের মন্ত্রক ধরে রাখতে পেরেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন 69 বছর বয়সী প্রাক্তন আমলা জয়শঙ্কর ৷ মঙ্গলবারই তিনি বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন দ্বিতীয়বারের জন্য ৷ তার পরই তিনি চিন প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন ৷ তিনি বলেন, "চিনের ব্যাপারে আমাদের ফোকাস থাকবে কিভাবে বাকি সমস্যাগুলো সমাধান করা যায় ।" উল্লেখ্য, ভারতীয় ও চিনা সামরিক বাহিনী 2020 সালের মে থেকে একটি অচলাবস্থায় আটকে রয়েছে ৷ এর ফলে পূর্ব লাদাখে চার বছর ধরে চিনের সঙ্গে সীমান্তে সমস্যা দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন অব্যাহত রেখেছে ৷
পাশাপাশি পাকিস্তানের দিক থেকে সীমান্তপারের সন্ত্রাস প্রসঙ্গেও মত প্রকাশ করেছেন তিনি ৷ এই বিষয়টিরও এবার সমাধান প্রয়োজন বলেই তিনি মনে করেন ৷ তাঁর কথায়, "পাকিস্তানের সঙ্গে, আমাদের সন্ত্রাসবাদের ইস্যু আছে - আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস - আমরা কিভাবে এর সমাধান খুঁজে পাব... এটা ভালো প্রতিবেশীর নীতি হতে পারে না ।"
আগামিদিনের বিদেশনীতি নিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, "সামনের দিকে তাকিয়ে, আমি অবশ্যই মনে করি যে প্রধানমন্ত্রী আমাদের যে দু’টি বিষয় উল্লেখ করেছেন - ‘সর্বাগ্রে ভারত' এবং 'বসুধৈব কুটুম্বকম' - এই দুটি বিষয় হবে ভারতীয় বিদেশনীতির আগামিদিনের পথ ৷"
তিনি আরও বলেন, "একই সঙ্গে, আমরা খুব আত্মবিশ্বাসী যে আমারা 'বিশ্ববন্ধু' হিসাবে অবস্থান করব - এমন একটি দেশ যেটি খুব অশান্ত বিশ্বে, খুব বিভক্ত বিশ্বে, একটি সংঘাত ও উত্তেজনার বিশ্বে, এমন জায়গায় নিজেদের স্থাপন করবে, যেখানে সবাই আমাদের বিশ্বাস করবে ৷ এমন একটি দেশ যাদের যাদের প্রতিপত্তি ও প্রভাব বৃদ্ধি পাবে এবং স্বার্থ উন্নত হবে ৷"
2019 সালে প্রথমবার বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন জয়শঙ্কর ৷ গত পাঁচ বছরে বিদেশমন্ত্রক খুব ভালো কাজ করেছে বলে তিনি জানান ৷ তাই এবারও একই মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়ে তিনি খুশি বলে জানিয়েছেন জয়শঙ্কর ৷