মুম্বই, 13 নভেম্বর: শিবসেনা (ইউবিটি) প্রধান উদ্ধব ঠাকরে বুধবার মহা বিকাশ আঘাড়ি বিরোধীদের কাছে তাঁদের ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে একপাশে সরিয়ে রেখে মহারাষ্ট্রের স্বার্থে বড় স্বপ্ন দেখার জন্য আবেদন করেছেন। ভোটের আগে শিবসেনা (ইউবিটি) প্রার্থী রাজন তেলির জন্য কোঙ্কন অঞ্চলের উপকূলীয় সাওয়ান্তওয়াড়িতে একটি সমাবেশ থেকে উদ্ধব ঠাকরে জানান, আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনার সময় টানাপোড়েন হতে পারে তবে বিরোধী জোটের অংশীদাররা শেষ পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধই থাকবে।
রাজ্যের স্বার্থে বড় স্বপ্ন দেখার কথা বলে উদ্ধব আরও বলেন, “কংগ্রেস কিছু আসন চেয়েছিল ৷ এমনকী আমরাও আরও কিছু আসন চেয়েছিলাম। কিন্তু যখন আমরা দেশের বৃহত্তর স্বার্থের সঙ্গে একত্রিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তখন আমাদের জোট ধর্ম অনুসরণ করতে হবে। আমি এখনও আমাদের জোটের যাঁরা বিরোধিতা করছেন তাঁদের আবেদন করতে চাই, মহারাষ্ট্র-বিরোধীদের কোনওভাবেই সাহায্য করবেন না ৷"
অগস্ট মাসে সিন্ধুদুর্গ জেলা রায়গড় দুর্গে ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের মূর্তি ভেঙে পড়ার জন্য সামুদ্রের হাওয়াকে দোষারোপ করেছে সরকার ৷ তার পাল্টা উদ্ধব ঠাকরে শিন্ডেকেই আক্রমণ করেছেন। তাঁর কথায়, “যারা শিবাজি মহারাজের মূর্তি ভেঙে পড়ার জন্য সামুদ্রিক বাতাসকে দায়ী করেন তাদের লজ্জিত হওয়া উচিত ৷”
শিবসেনা (ইউবিটি) প্রধান ঠাকরে আরও জানান, তিনি 2019 সালে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন ৷ সে সময় তিনি প্রথম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রায়গড় দুর্গ পুনরুদ্ধার করবেন। পাশাপাশি কৃষি ঋণ মুকুব করার তহবিলও করবেবন ৷ তাঁর কথায়, “আমার সরকারের পতন না হলে আমি আবার কৃষিঋণ মুকুব করতাম।”
48টি আসনের মধ্যে, এই বছরের শুরুর দিকে হওয়া লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসক শিবির মাত্র 17 টি আসনে জয়ী হয়েছিল। সেই দিক থেকে এগিয়ে ছিল বিরোধীরা। বাল ঠাকরে-প্রতিষ্ঠিত শিবসেনা 2022 সালের জুন মাসে বিভক্ত হয় ৷ এরপর একনাথ শিন্ডে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন এবং বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হন ৷ উদ্ধব ঠাকরে সরকারের পতন ঘটে। ঠাকরে এদিন দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, "কোঙ্কনের মানুষকে আমি এমভিএ-এর উপর বিশ্বাস রাখার জন্য অনুরোধ করছি ৷ যাতে কঙ্কনকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়া যায়। আমাদের কঙ্কনকে রক্ষা করতে হবে ৷”