ETV Bharat / bharat

সিদ্ধিদাতাই সিদ্ধিলাভ ! উৎসবের শুরুতেই কেন সবার আগে পূজিত গণপতি বাপ্পা ? - Ganesh Chaturthi 2024

Ganesh Puja 2024: আজ গণেশ চতুর্থী ৷ শনিবার থেকে শুরু হল সিদ্ধিদাতার পুজো ৷ 10 দিন ধরে ধুমধাম করে গণপতি বাপ্পার পুজোয় মেতে উঠবে মুম্বইনগরী-সহ দেশ ৷ আজ সকাল থেকেই ভক্তদের কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে 'গণপতি বাপ্পা মরিয়া' ৷ মুম্বই থেকে পুনেতে নিরাপত্তা দিতে থাকছে 15 হাজার পুলিশ ৷ সমস্ত পুজোর শুরুতে সিদ্ধিদাতাই কেন পূজিত হন ? গণপতির আরাধনায় রয়েছে তো এই সামগ্রী ?

Ganesh Puja 2024
গণেশ চতুর্থী (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 7, 2024, 1:34 PM IST

Updated : Sep 7, 2024, 1:45 PM IST

মুম্বই, 7 সেপ্টেম্বর: সৌভাগ্য, সমৃদ্ধি এবং বুদ্ধির দেব হলেন শ্রী গণেশ। শ্রী গণেশ সিদ্ধিদাতা, অর্থাৎ সকল কাজে সফলতা প্রদান করেন তিনি। এই কারণে সমস্ত শুভ কাজে, এমনকী সমস্ত পুজোর শুরুতে সিদ্ধিদাতার পুজো করা হয়। ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে পালন করা হয় গণেশ চতুর্থী। আজ সেই দিন ৷ সিদ্ধিদাতা গণেশের বন্দনায় মেতে উঠেছেন দেশবাসী। বিশেষ করে মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, গোয়া-সহ ভারতের দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে জনপ্রিয় গণপতির পুজো। রাজ্যের বড় উৎসবে যাতে কোনও বিভ্রান্তি না-হয় তাই মুম্বই থেকে পুনেয় থাকছে 15 হাজার পুলিশ বাহিনী ৷

মুম্বই থেকে পুনেতে নিরাপত্তা দিতে থাকছে 15 হাজার পুলিশ (ইটিভি ভারত)

গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে উৎসবে মেতে ওঠে মহারাষ্ট্র ৷ দক্ষিণের রাজ্যগুলিতেও বিশাল আকারে আজ থেকে আগামী 10 দিন ধরে গণেশ পুজো চলবে, যা বিশাল উৎসবের চেহারা নেয়। এবারে গণেশ চতুর্থীর তিথি থাকবে (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে) চতুর্থী তিথি আরম্ভ হয়েছে বাংলা 21 ভাদ্র, ইংরেজি তারিখের 6 সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুর 3টে 3 মিনিটে ৷ চতুর্থী তিথি শেষ 22 ভাদ্র, ইংরেজি তারিখের 7 সেপ্টেম্বর, শনিবার বিকেল 5টা 38 মিনিট পর্যন্ত থাকবে ৷

  • গণেশ কথা-

সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্মের সময় দেবী দুর্গা সকলের সঙ্গে শনিদেবকেও নিমন্ত্রণ করেন তাঁর পুত্রের মুখ দেখে আশীর্বাদ করার জন্য। অনিচ্ছা সত্ত্বেও শনিদেব গৌরী পুত্রকে দর্শন করেন। শনিদেব দর্শন করা মাত্র গণেশের মাথা ভস্মীভূত হয়। এই অবস্থায় ভগবান বিষ্ণুর প্রচেষ্টায় হস্তিমস্তক দিয়ে শ্রী গণেশের পুনর্জীবন দান করা হয়। দেবী দুর্গা ক্রুদ্ধ এবং চিন্তিত হয়ে পড়েন এই রূপদর্শনের কারণে শ্রী গণেশকে দেবতা রূপে পুজো করা হবে কি না, এই চিন্তায়। অবশেষে সমস্ত দেবতার আশীর্বাদে শ্রী গজানন সিদ্ধি ও সফলতা লাভের দেবতার স্থান পান। এই কারণে সমস্ত শুভ কাজে, এমনকী সমস্ত পুজোর শুরুতে সিদ্ধিদাতার পুজো করা হয়।

  • গণেশ পুজো সামগ্রী-

সিঁদুর, গণেশ মূর্তি, কলস, মোদক, কলা, আরতির বই, পান, মরসুমি ফল, প্রদীপ, গঙ্গার জল, কর্পূর, চন্দন, ফুল, গোটা চাল,পান পাতা, কাঠের চৌকি, কলা গাছ, হলুদ এবং লাল কাপড়, নতুন জামাকাপড়। এই সময়, মোদক, ফল, ক্ষীর এবং মিষ্টি বিঘ্নহর্তাকে নিবেদন করা হয়, যা তাঁকে খুশি করে। বলা হয় যে গণেশ চতুর্থীর পুজো সর্বদা সম্পূর্ণ উপকরণ দিয়ে করা উচিত। এতে বাপ্পার আশীর্বাদ অটুট থাকে।

  • শনির সকালে বাপ্পাকে নিয়ে মাতোয়ারা-

'লালবাগ চা রাজা', 'চিঞ্চপোকলিচা চিন্তামণি', 'খেতওয়াড়ি চা রাজা, জিএসবি এগুলি মহারাষ্ট্রের বিখ্যাত গণেশ পুজো ৷ প্রিয় গজানন্দের পুজোয় আজ সকাল থেকেই ভক্তরা আনন্দে মেতেছেন ৷ বাপ্পাকে গ্র্যান্ড স্বাগত জানিয়ে আগমন শোভাযাত্রা শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। পুনে, নাগপুর, নাসিক, থানে-সহ শহরগুলিতে ভক্তদের ভিড় দেখার মতো ৷

বহু মানুষ অটোরিকশা, গাড়ি এবং অন্যান্য যানবাহনে গণেশের মূর্তি নিয়ে বাড়ি থেকে ক্লাবের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ৷ ঐতিহ্যবাহী ঢোল, তাশা, ঢাক নিয়ে সকাল থেকে শুরু হয়েছে শোভাযাত্রা ৷ এই শোভাযাত্রা গত কয়েকদিন ধরেই চলছে ৷ বাড়িতে বাড়িতে প্যান্ডেল হয়েছে ৷ বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিমা প্রতিষ্ঠা চলছে ৷ ফুল, পূজার উপকরণ, মিষ্টি ও সাজসজ্জার সামগ্রী কেনার জন্য সবজি ও ফুলের বাজার, মিষ্টির দোকান ও রাস্তার পাশে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ছে। বলি সেলেব থেকে রাজনীতিবিদরা প্রতিবছর তাঁদের বাড়িতে জ্ঞান ও জ্ঞানের দেবতার মূর্তি স্থাপন করে পুজো করেন ৷

  • রাজ্যের বড় উৎসবের নিরাপত্তা-

মহারাষ্ট্রের বড় বড় শহরগুলিতে 10 দিনের উৎসব চলাকালীন নিরাপত্তার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রায় 15 হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। 32 জন ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ, 45 সহকারী কমিশনার, 2 হাজার 435 জন আধিকারিক, 12 হাজার 420 কনস্টেবল, হোম গার্ড এবং রাজ্য রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স, র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স এবং রায়ট কন্ট্রোল ইউনিটের কর্মীরা রাস্তায় থাকবেন ৷ শিল্পনগরীতে আড়াই হাজারেরও বেশি গণেশ মণ্ডপ এবং লক্ষাধিক পরিবার এই উৎসব উদযাপন করবে।

মুম্বই, 7 সেপ্টেম্বর: সৌভাগ্য, সমৃদ্ধি এবং বুদ্ধির দেব হলেন শ্রী গণেশ। শ্রী গণেশ সিদ্ধিদাতা, অর্থাৎ সকল কাজে সফলতা প্রদান করেন তিনি। এই কারণে সমস্ত শুভ কাজে, এমনকী সমস্ত পুজোর শুরুতে সিদ্ধিদাতার পুজো করা হয়। ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে পালন করা হয় গণেশ চতুর্থী। আজ সেই দিন ৷ সিদ্ধিদাতা গণেশের বন্দনায় মেতে উঠেছেন দেশবাসী। বিশেষ করে মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, গোয়া-সহ ভারতের দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে জনপ্রিয় গণপতির পুজো। রাজ্যের বড় উৎসবে যাতে কোনও বিভ্রান্তি না-হয় তাই মুম্বই থেকে পুনেয় থাকছে 15 হাজার পুলিশ বাহিনী ৷

মুম্বই থেকে পুনেতে নিরাপত্তা দিতে থাকছে 15 হাজার পুলিশ (ইটিভি ভারত)

গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে উৎসবে মেতে ওঠে মহারাষ্ট্র ৷ দক্ষিণের রাজ্যগুলিতেও বিশাল আকারে আজ থেকে আগামী 10 দিন ধরে গণেশ পুজো চলবে, যা বিশাল উৎসবের চেহারা নেয়। এবারে গণেশ চতুর্থীর তিথি থাকবে (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে) চতুর্থী তিথি আরম্ভ হয়েছে বাংলা 21 ভাদ্র, ইংরেজি তারিখের 6 সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুর 3টে 3 মিনিটে ৷ চতুর্থী তিথি শেষ 22 ভাদ্র, ইংরেজি তারিখের 7 সেপ্টেম্বর, শনিবার বিকেল 5টা 38 মিনিট পর্যন্ত থাকবে ৷

  • গণেশ কথা-

সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্মের সময় দেবী দুর্গা সকলের সঙ্গে শনিদেবকেও নিমন্ত্রণ করেন তাঁর পুত্রের মুখ দেখে আশীর্বাদ করার জন্য। অনিচ্ছা সত্ত্বেও শনিদেব গৌরী পুত্রকে দর্শন করেন। শনিদেব দর্শন করা মাত্র গণেশের মাথা ভস্মীভূত হয়। এই অবস্থায় ভগবান বিষ্ণুর প্রচেষ্টায় হস্তিমস্তক দিয়ে শ্রী গণেশের পুনর্জীবন দান করা হয়। দেবী দুর্গা ক্রুদ্ধ এবং চিন্তিত হয়ে পড়েন এই রূপদর্শনের কারণে শ্রী গণেশকে দেবতা রূপে পুজো করা হবে কি না, এই চিন্তায়। অবশেষে সমস্ত দেবতার আশীর্বাদে শ্রী গজানন সিদ্ধি ও সফলতা লাভের দেবতার স্থান পান। এই কারণে সমস্ত শুভ কাজে, এমনকী সমস্ত পুজোর শুরুতে সিদ্ধিদাতার পুজো করা হয়।

  • গণেশ পুজো সামগ্রী-

সিঁদুর, গণেশ মূর্তি, কলস, মোদক, কলা, আরতির বই, পান, মরসুমি ফল, প্রদীপ, গঙ্গার জল, কর্পূর, চন্দন, ফুল, গোটা চাল,পান পাতা, কাঠের চৌকি, কলা গাছ, হলুদ এবং লাল কাপড়, নতুন জামাকাপড়। এই সময়, মোদক, ফল, ক্ষীর এবং মিষ্টি বিঘ্নহর্তাকে নিবেদন করা হয়, যা তাঁকে খুশি করে। বলা হয় যে গণেশ চতুর্থীর পুজো সর্বদা সম্পূর্ণ উপকরণ দিয়ে করা উচিত। এতে বাপ্পার আশীর্বাদ অটুট থাকে।

  • শনির সকালে বাপ্পাকে নিয়ে মাতোয়ারা-

'লালবাগ চা রাজা', 'চিঞ্চপোকলিচা চিন্তামণি', 'খেতওয়াড়ি চা রাজা, জিএসবি এগুলি মহারাষ্ট্রের বিখ্যাত গণেশ পুজো ৷ প্রিয় গজানন্দের পুজোয় আজ সকাল থেকেই ভক্তরা আনন্দে মেতেছেন ৷ বাপ্পাকে গ্র্যান্ড স্বাগত জানিয়ে আগমন শোভাযাত্রা শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। পুনে, নাগপুর, নাসিক, থানে-সহ শহরগুলিতে ভক্তদের ভিড় দেখার মতো ৷

বহু মানুষ অটোরিকশা, গাড়ি এবং অন্যান্য যানবাহনে গণেশের মূর্তি নিয়ে বাড়ি থেকে ক্লাবের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ৷ ঐতিহ্যবাহী ঢোল, তাশা, ঢাক নিয়ে সকাল থেকে শুরু হয়েছে শোভাযাত্রা ৷ এই শোভাযাত্রা গত কয়েকদিন ধরেই চলছে ৷ বাড়িতে বাড়িতে প্যান্ডেল হয়েছে ৷ বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিমা প্রতিষ্ঠা চলছে ৷ ফুল, পূজার উপকরণ, মিষ্টি ও সাজসজ্জার সামগ্রী কেনার জন্য সবজি ও ফুলের বাজার, মিষ্টির দোকান ও রাস্তার পাশে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ছে। বলি সেলেব থেকে রাজনীতিবিদরা প্রতিবছর তাঁদের বাড়িতে জ্ঞান ও জ্ঞানের দেবতার মূর্তি স্থাপন করে পুজো করেন ৷

  • রাজ্যের বড় উৎসবের নিরাপত্তা-

মহারাষ্ট্রের বড় বড় শহরগুলিতে 10 দিনের উৎসব চলাকালীন নিরাপত্তার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রায় 15 হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। 32 জন ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ, 45 সহকারী কমিশনার, 2 হাজার 435 জন আধিকারিক, 12 হাজার 420 কনস্টেবল, হোম গার্ড এবং রাজ্য রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স, র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স এবং রায়ট কন্ট্রোল ইউনিটের কর্মীরা রাস্তায় থাকবেন ৷ শিল্পনগরীতে আড়াই হাজারেরও বেশি গণেশ মণ্ডপ এবং লক্ষাধিক পরিবার এই উৎসব উদযাপন করবে।

Last Updated : Sep 7, 2024, 1:45 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.