নয়াদিল্লি, 24 ফেব্রুয়ারি: বছর চোদ্দোর এক ছাত্রকে খুন করল তারই সহপাঠী ৷ শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর-পূর্ব দিল্লির উসমানপুর থানা এলাকায় ৷ পুলিশ জানিয়েছে এই ঘটনায় এক নাবালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে, তুচ্ছ কোনও বিষয় নিয়ে দু'জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপরই 12 বছরের এক ছাত্র তারই সহপাঠীকে স্কুলের বাইরে খুন করে। উদ্ধারের সময় নিহত ছাত্রের নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল বলে জানা গিয়েছে। তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
উত্তর-পূর্ব দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার জয় তিরকে জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেল চারটে নাগাদ 14 বছর বয়সি ওই ছাত্রকে শাস্ত্রী পার্কের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় ৷ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ব্রহ্মপুরীর সন্ত রবিদাস গলি থেকে ওই ছাত্রকে রক্তাক্ত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল হাসপাতালে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, দুপুর সোয়া 2টোর দিকে ব্রহ্মপুরীর প্রভু রবিদাস গলিতে ওই ছাত্রকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
ডিসিপি জানান, মৃত শিশুটি ব্রহ্মপুরীর দুই নম্বর গলির বাসিন্দা ৷ ওই এলাকার একটি বেসরকারি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত সে। পুলিশের একটি টিম এবং ফরেনসিক দল ঘটনাস্থল তদন্ত করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজও বের করা হয় ৷ যার ভিত্তিতে অভিযুক্ত ছাত্রকে সনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডিসিপি জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ছাত্রের বয়স 12 বছর।
সূত্রের খবর, স্কুল শেষে বাড়ি ফেরার সময় ব্রহ্মপুরীর এক রাস্তায় দুই ছাত্রের মধ্যে হাতাহাতি হয়। অভিযুক্তরা ব্লেড নিয়ে 14 বছর বয়সি ওই ছাত্রের উপর চড়াও হয় ৷ অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ডিসিপি।
আরও পড়ুন: