নয়াদিল্লি, 5 ডিসেম্বর: 24 ঘণ্টার মধ্যে দিল্লিতে একই পরিবারের তিনজন খুনের মামলার সমাধান করল পুলিশ ৷ বুধবার সকালে একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রী ও মেয়েকে খুন করা হয়েছিল ঘরেই ৷ দিল্লি পুলিশ মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই খুনের রহস্যের সমাধান করলেও যা বেরিয়ে এল তা চমকে দেওয়ার মতোই ৷
তদন্তে দেখা যায়, বাড়ির ছেলেই প্রথম ঘটনাটি পুলিশকে জানিয়েছিল ৷ আর আদতে সে-ই খুন করেছে বলে জানা গেল ৷ ছেলে অর্জুন বাবা-মায়ের বিবাহবার্ষিকীর দিনই তাঁদের সঙ্গে বোনকেও সন্দেহের বশে খুন করে ৷ এরপর পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্য একটি মিথ্যা গল্পও সে তৈরি করেছিল ৷ তথ্য অনুযায়ী, অর্জুন খেলতে পছন্দ করত ৷ সেই তুলনায় পড়াশোনায় তার মন ছিল না ৷ আর এই কারণে তার বাবা তাকে সবসময় বকাঝকা করতেন বলে দাবি করেছে সে। কয়েকদিন আগে অর্জুনকে অনেকের সামনেই তার বাবা মারে বলেও দাবি ৷ এর পরেই রাগ পুষে রাখে অর্জুন ৷ একই সঙ্গে পুলিশ সূত্রে খবর, তার মনে এও আশঙ্কা দানা বেঁধেছিল যে পরিবারের লোকেরা তার বোনকেই বেশি ভালবাসে।
শুধু তাই নয়, তার সন্দেহ ছিল যে তার বাবা-মা তাদের যাবতীয় সম্পত্তি তার বোনকেই দিতে পারে। এরপরই হত্যার পরিকল্পনা করে অর্জুন। জিজ্ঞাসাবাদে অর্জুন বিভিন্ন রকম কথা বললে পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ হয় তাকে ঘিরেই। পরে অবশ্য অর্জুন স্বীকার করেছে, যে সে নিজেই এই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী।
পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে সে জানিয়েছে, বুধবার ভোর পাঁচটার দিকে ঘুম থেকে উঠে নীচের ঘরে যায় সে ৷ সেই ঘরে ঘুমন্ত বোনকে গলায় আঘাত করে হত্যা করে সে। এরপর দোতলার ঘরে ঘুমন্ত বাবাকে খুন করে এবং পরে বাথরুম থেকে বের হওয়ার পরে মাকেও খুন করে। অর্জুন এমনভাবে ঘটনাটি ঘটিয়েছে যাতে বাড়িতে উপস্থিত কেউ বিষয়টি জানতে না পারে।
পুলিশ অর্জুনকে গ্রেফতার করেছে ৷ তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যদিও ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র এখনও উদ্ধার করা যায়নি বলেই জানিয়েছে পুলিশ।