নয়াদিল্লি, 3 ফেব্রুয়ারি: মুখ্য়মন্ত্রীর বাড়িতে ফের দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ ৷ শনিবার সাতসকালেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবনে পৌঁছল অপরাধ দমন শাখা ৷ তাঁকে তদন্তে যোগ দেওয়ার জন্য নোটিশ দিতেই কেজরিওয়ালের বাড়িতে আসেন আধিকারিকরা ৷ শুক্রবারও এই নোটিশ দেওয়ার জন্য আধিকারিকরা কেজরিওয়ালের বাসভবনে এসেছিলেন ৷ কিন্তু তাঁকে নোটিশ দিতে না-পারায় ফের শনিবার সকালে হাজির দিল্লি পুলিশ ৷
জানুয়ারির শেষদিকে কেজরিওয়াল দাবি করেছিলেন, বিজেপি আপ বিধায়কদের ভাঙিয়ে আম আদমি পার্টি থেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে ৷ সেই দাবিতেই তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ ৷ আর এই তদন্তে মুখ্যমন্ত্রী অংশ নিন, তাই তাঁর নামে নোটিশ পাঠানো হয়েছে ৷
এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ পদমর্যাদার আধিকারিক ৷ এসিপি জানান, এই নোটিশটি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নামে ৷ তাই তাঁর হাতেই দিতে হবে ৷ এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে উপস্থিত আধিকারিকরা জানান, তাঁরা ওই নোটিশটি নেবেন ৷ তার প্রমাণস্বরূপ নোটিশ গ্রহণের নথিটিও দেবেন ক্রাইম ব্রাঞ্চকে ৷ এদিকে আপ সূত্রের অভিযোগ, পুলিশ মিডিয়াকেও সঙ্গে এনেছে ৷ তারা মুখ্যমন্ত্রীকে কালিমালিপ্ত করার চক্রান্ত করছে ৷ শুক্রবারও ক্রাইম ব্রাঞ্চের একটি দল মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে আসে ৷ এদিন আধিকারিকরা মুখ্যমন্ত্রীর হাতে নোটিশ তুলে দিতে পারেননি ৷ সূত্রে জানা গিয়েছে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবনে কেউ এই নোটিশ নিতে চায়নি ৷
21 জানুয়ারি আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল অভিযোগ করেন, আপের 7 জন বিধায়ককে বিজেপি 25 কোটি টাকা দিতে চেয়েছে ৷ গেরুয়া শিবির তাঁদের হুমকিও দিয়েছে যে, খুব শীঘ্রই কেজরিওয়ালের সরকার পড়ে যাবে ৷ তাই ওই বিধায়করা 25 কোটি টাকা নিয়ে পদ্মশিবিরে যোগ দিন ৷ এই ঘটনাটি সোশাল মিডিয়ায় বিস্তারিত জানিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল ৷ এমনকী তাঁর মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য আতিশিও একই অভিযোগ করেন, "বিজেপি দিল্লিতে 'অপারেশন লোটাস 2.0' চালু করেছে ৷ গত বছরও ঠিক এইভাবে অর্থের বিনিময়ে আপ বিধায়কদের ভাঙিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল বিজেপি ৷ তবে সেবার তারা ব্যর্থ হয় ৷"
এই অভিযোগের পর 30 জানুয়ারি দিল্লি বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল পুলিশের কাছে গিয়ে এর তদন্ত দাবি করে ৷ ওই দলের নেতৃত্বে ছিলেন দিল্লি বিজেপির সভাপতি বীরেন্দর সচদেবা ৷ পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরার সঙ্গে দেখা করে বিজেপি সভাপতি জানান, কেজরিওয়ালের অভিযোগের সমর্থনে কোনও তথ্যপ্রমাণ পেশ করা হয়নি ৷ তাই আপ প্রধান এই অভিযোগটি প্রমাণ করুন ৷ এরপর শুক্রবার ক্রাইম ব্রাঞ্চের একটি দল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মন্ত্রী আতিশির বাড়িতে নোটিশ দিতে চান ৷ তবে আতিশি বাড়িতে না-থাকায় নোটিশ দেওয়া যায়নি ৷
আরও পড়ুন: