হায়দরাবাদ, 12 মার্চ: আজ থেকে দেশে কার্যকর হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ৷ একদিকে সিএএ নিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে ৷ বিধি কার্যকরের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা ৷ অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কর্তৃক নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন 2019 বাস্তবায়নের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে দিল্লি হজ কমিটি এবং অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাত-সহ কয়েকটি ইসলামী সংগঠন ।
দিল্লি হজ কমিটির চেয়ারম্যান কাউসার জাহান জানিয়েছিন, সিএএ নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয় ৷ বরং নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে ৷ পাকিস্তান বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশী দেশগুলিতে মুসলিম নয় এমন মানুষদের মর্যাদাপূর্ণ জীবন দেওয়ার ক্ষেত্রে এই আইনের তাৎপর্য কী, তা তুলে ধরেছেন তিনি ।
কাউসার জাহান বলেন, "আমি সিএএকে স্বাগত জানাই । এটি নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার নয়, দেওয়ার জন্য আইন । আমাদের প্রতিবেশী যেমন পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মতো দেশে মুসলিম ছাড়া অন্য সম্প্রদায়ের মানুষের অবস্থা ভালো নয় । সরকার যদি তাদের একটি সম্মানজনক জীবন দিতে চায়, তাহলে এতে সমস্যা কোথায়? মুসলিম সম্প্রদায়ের এতে কোনো সমস্যা হবে না ৷ আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই ৷"
সিএএকে স্বাগত জানিয়েছেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাতের সভাপতি মাওলানা শাহাবুদ্দিন রাজভি বেরেলভিও ৷ তিনি বলেছেন, "ভারত সরকার সিএএ আইন কার্যকর করেছে । আমি এই আইনকে স্বাগত জানাই । এটি আরও আগে করা উচিত ছিল ।" তাঁর কথায়, "এই আইন নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে অনেক ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে । এই আইনের সঙ্গে মুসলিমদের কোনো সম্পর্ক নেই । এর আগে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আগত অন্য সম্প্রদায়ের মানুষজন যারা ধর্মের ভিত্তিতে হিংসার শিকার হয়েছিলেন তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কোনো আইন ছিল না ৷ তাই এই আইনটি করা হয়েছে । কোটি কোটি ভারতীয় মুসলমান এই আইনের দ্বারা মোটেও প্রভাবিত হবে না ৷"
তিনি জানান, এই আইন কোনো মুসলমানের নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না ৷ বিগত বছরগুলোতে দেখা গিয়েছে প্রতিবাদ হয়েছে, আইনকে ভুল বোঝার কারণে তা হয়েছে । কিছু রাজনৈতিক লোক মুসলিমদের ভুল বুঝিয়েছে ৷ ভারতের প্রত্যেক মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের সিএএকে স্বাগত জানানো উচিত ৷
আরও পড়ুন: