গোন্ডা (উত্তরপ্রদেশ), 9 সেপ্টেম্বর: ফের 'গণধর্ষণে'র শিকার কিশোরী ৷ এবার চলন্ত গাড়িতে এক দলিত কিশোরীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল দুই যুবকের বিরুদ্ধে ৷ রিজওয়ান ও আরিফ নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, 17 বছর বয়সি ওই নাবালিকাকে মোবাইল দেওয়ার নাম করে কোনও একটি জায়গায় নিয়ে যাচ্ছিল এই দুই যুবক। সে সময় গাড়িতে তারা নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। পরে গোন্ডা-অযোধ্যা জাতীয় সড়কে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে গাড়ির ধাক্কা লাগে। বিপদ বুঝে যুবকরা গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যায়। আরও পরে ওই নির্যাতিতা কিশোরী বাড়ি পৌঁছে তার সঙ্গে যা ঘটেছে তা জানায় ৷
ঘটনার কথা জানার পর নির্যাতিতার মা পুলিশে খবর দেন। অভিযুক্ত দু'জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গোন্ডা নগর কোতোয়ালি এলাকায়। জানা গিয়েছে, গত শনিবার সন্ধ্যায় ওই কিশোরীর বাবা-মা একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মামার বাড়িতে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে নামে ওই দুই অভিযুক্ত মেয়েটিকে মোবাইল দেওয়ার অজুহাতে গাড়ি করে নিয়ে যায়। গাড়ি মুন্নান খান মোড় থেকে মহারাজগঞ্জের দিকে এগিয়ে যায়। চলন্ত গাড়িতেই একে একে ওই দুই যুবক তরুণীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ৷ মেয়েটি চিৎকার করলেও অভিযুক্তরা তার কথায় কর্ণপাত করেনি ৷
মহারাজগঞ্জ পুলিশ চৌকি থেকে চাঁদ কদমের কিছুদূরে দ্রুতগামী গাড়িটির সঙ্গে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির ধাক্কা লাগে। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুই যুবকই পালিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই যুবকের মধ্যে আরিফ ফোর্বসগঞ্জের পান্তনগরের বাসিন্দা এবং রিজওয়ান বলরামপুরের ভগৌতিগঞ্জের বাসিন্দা।
মেয়েটি বাড়িতে পৌঁছলে তার পরিবার ঘটনাটি জানতে পারে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার মা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনোজ কুমার রাওয়াত বলেন, "নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে ৷ তাদের গ্রেফতারও করা হয়েছে ৷ দু'জনেই এখন জেল হেফাজতে আছে। পরবর্তী তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ নির্যাতিতা মেয়েটিরও যাবতীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।"