আমেঠি, 4 জুন: আমেঠি পুনরুদ্ধার করল কংগ্রেস শিবির ৷ একইসঙ্গে হাত শিবিরের মিথ অটুট রইল রায়বরেলিতে ৷ অর্থাৎ, গান্ধি পরিবারের হাতেই থাকল রায়বরেলি ৷ আমেঠিতে কংগ্রেস প্রার্থী কিশোরীলাল শর্মার কাছে থেকে হেরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ৷ আর তারপরই কংগ্রেস প্রার্থী সাফ জানিয়েছেন, এটা আমেঠির মানুষ এবং গান্ধি পরিবারেরই জয়।
2019-এ এই আমেঠি থেকেই ভোটে লড়েছিলেন রাহুল গান্ধি ৷ সেবার অবশ্য স্মৃতি ইরানির কাছেই পরাজিত হয়েছিলেন রাহুল ৷ সেই আসন ফের ফিরে এল কংগ্রেসের হাতেই ৷ দীর্ঘদিন কংগ্রেস বিশেষত গান্ধি পরিবারের সদস্যদের জন্য বরাদ্দ আসন এবার ফের পুনরুদ্ধার হল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ ৷ কিশোরীলাল শর্মা এনআইকে বলেন, "এটি গান্ধি পরিবার এবং আমেঠির জনগণের বিজয় ৷ এখনও কিছু গণনা বাকি আছে, তাই আমি এখন এটিকে জয় বলব না ৷" কংগ্রেস প্রার্থী আরও বলেন, "আমি এই নির্বাচনে লড়িনি, আমেঠির মানুষই যা করার করেছে।" গান্ধি পরিবার আমাকে টিকিট দিয়েছে এবং আমাকে একটি দায়িত্ব দিয়েছে ৷ আমি মনে করি আমি তাদের প্রত্যাশা পূরণ করছি।"
নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কেএল শর্মা 1 লক্ষ 18 হাজার 471 ভোটে স্মৃতি ইরানির থেকে এগিয়ে। কেএল শর্মা পেয়েছেন 3 লক্ষ 97 হাজার 538 ভোট এবং স্মৃতি ইরানি পেয়েছেন 2 লক্ষ 79 হাজার 067 ভোট। 2019 সালে স্মৃতি ইরানি 55 হাজার ভোটে রাহুল গান্ধিকে পরাজিত করে আমেঠি আসনে জিতেছিলেন।
অন্যদিকে, মোদি ব্র্য়ান্ডে চিড় ধরলেও লোকসভায় জয়ের হ্যাটট্রিক করতে চলেছে এনডিএ জোট, তা স্পষ্ট। তারপরও অবশ্য ভাঙল না রায়বরেলির মিথ ৷ জয়ী হলেন গান্ধি পরিবারের তৃতীয় প্রজন্ম রাহুল গান্ধি। রেকর্ড চার লক্ষের বেশি ভোটের ব্যবধানে হারলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী দীনেশ প্রতাপ সিং। এমনকী গণনার মাঝেই হার স্বীকার করেন তিনি। রাহুল গান্ধি এই কেন্দ্রে 3 লক্ষ 85 হাজার 501 ভোটের বিশাল ব্যবধানে জিতেছেন ৷ তিনি কেরালার ওয়েনাড থেকেও সাড়ে 3 লক্ষেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। (এএনআই)