নয়াদিল্লি, 8 মার্চ: কংগ্রেসের নির্বাচনী কমিটি (সিইসি)-র বৈঠক 11 মার্চ ৷ সেদিকেই আপাতত চোখ রেখেছে রাজনৈতিক মহল ৷ কংগ্রেস সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই পাঁচ রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত রাজ্যের আসন কার্যত চূড়ান্ত করে ফেলেছে হাত শিবির। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল জানান, কেরল, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড়, দিল্লি ও লাক্ষাদ্বীপের আসনে প্রার্থী প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের প্রথম কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির বৈঠক ছিল লোকসভার প্রার্থীদের নিয়ে। আমরা কেরল, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড়, দিল্লি এবং লাক্ষাদ্বীপ থেকে আসন চূড়ান্ত করেছি ৷ কিছু প্রক্রিয়া চলছে ৷ খুব শীঘ্রই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে ৷"
অন্যদিকে, দিল্লিতে 11 মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দলের দ্বিতীয় নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের বিষয়ে চূড়ান্ত হবে ৷ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধি এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থীদের বিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনা করেন ৷ দলীয় সূত্রে খবর, ওইদিন মধ্যরাতের দিকে বৈঠকে আসন নিয়ে চূড়ান্ত করা হয়।
লোকসভা নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি না, জানতে চাইলে ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল জানান, এ বিষয়ে যা বলার দলের মুখপাত্র কথা বলবেন। আরেক কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট বলেন, "যথেষ্ট ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। দেশের সমস্ত আসন নিয়েই আলোচনা হয়েছে। কংগ্রেস নির্বাচনী কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই তা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে। যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন এআইসিসি তা জানাবে।"
বৈঠকের পরে কংগ্রেস নেতা দীপক বাবরিয়া জানান, একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে ৷ সিইসি'র সদস্যরা অবশ্য 11 মার্চ ফের একবার আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন ৷ সেদিনই সব আসন নিয়ে ফের একবার আলোচনা হবে। সেখানেই সম্ভবত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। দীপক বাবরিয়া বলেন, "সিইসিই প্রার্থীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ৷ সেখানেই চূড়ান্ত হবে প্রার্থী তালিকা।" আসন ভাগাভাগি নিয়েও সেখানে আলোচনা হবে বলেও কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন
নির্বাচনী আবহে রাহুলকে তাঁর মন্তব্য নিয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ কমিশনের
370 ধারার অবলুপ্তি জম্মু-কাশ্মীরের জন্য মুক্ত বাতাস এনেছে, শ্রীনগরে দাবি প্রধানমন্ত্রীর