নয়াদিল্লি, 20 মে: প্রবল চাপে ডিগবাজি খেতে হল কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে। মাত্র দু'দিন আগে প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরি সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্ডিয়া শিবিরের অংশ হবেন কি না তা ঠিক করা অধীরের কাজ নয়। মমতা প্রসঙ্গে কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত ভালো না লাগলে তিনি দল ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারেন। এবার সেই অধীরকে লড়াকু সৈনিক বলে সার্টিফিকেট দিলেন খাড়গে।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্ডিয়া জোটে থাকা নিয়ে কয়েকটি মন্তব্য করেন। একবার তিনি জানান, জোটকে বাইরে থেকে সমর্থন করবেন। পরদিনই বলেন, তাঁর কথার ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে। পরে আবার বলেন, তাঁরা ইন্ডিয়া জোটে ছিলেন। আগামিদিনেও থাকবেন। এমনই আবহে অধীর জানিয়ে দেন বাংলায় মমতার সঙ্গে সমঝোতা করা তাঁর পক্ষে কোনওভাবে সম্ভব নয় । বাংলায় কংগ্রেসকে শেষ করার কাজ করেছেন মমতা।
এমন মন্তব্য ঘিরে হাত শিবিরে তোলপাড় শুরু হয় । দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রতিক্রিয়া দেন দেশের সবচেয়ে পুরনো দলের প্রথম দলিত সভাপতি । তিনি জানিয়েদেন, মমতা নিয়ে দলের অবস্থান যাঁরা ঠিক করতে পারেন সেই তালিকায় অধীর পড়েন না। কংগ্রেসের সঙ্গে মমতার রাজনৈতিক সমীকরণ কী হবে তা ঠিক করার ভার কংগ্রেস হাইকমান্ডের । সেটা তারাই করবেন। অধীরের সমস্যা হলে তিনি দল ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারেন।
খাড়গের মন্তব্যে তৃণমূল খুশি হয়। কুণাল ঘোষের মতো কেউ কেউ বলেন, অধীরকে আরও আগেই বার্তা দেওয়া উচিত ছিল কংগ্রেসের। তবে সভাপতির কথা যে দলেরই পছন্দ হয়নি তা নানা ঘটনা থেকে স্পষ্ট হতে থাকে। পাঁচবারের সাংসদ সম্পর্কে এমন মন্তব্যের বিরোধিতাও হয় দলের ভিতরে। এরপরই অবস্থান বদলের পথে হাঁটলেন খাড়গে।
সাংবাদিকদের এদিন খাড়গে বলেন, অধীর চৌধুরি কংগ্রেসের লড়াকু সেনাপতি । তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, নয়ের দশকের শেষে কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কড়া অবস্থান নিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সেটাকে ভুল বলে ব্যাখ্যা করেছে রাজনৈতিক মহল। সেই একই ভুল কি অধীরের সঙ্গেও করছে কংগ্রেস? উত্তরে সাবধানী খাড়গে বলেন,"আমি আলাদা করে কোনও ব্যক্তির বিষয়ে কথা বলতে চাই না। অধীর আমাদের দলের এক লড়াকু সৈনিক। পশ্চিমবঙ্গে তিনিই আমাদের নেতা।" খাড়েগের এই মন্তব্য অধীর-বিতর্কে জল ঢালে কিনা সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন: