নয়াদিল্লি, 16 ডিসেম্বর: ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের রাসায়নিক বন্ধ্যাত্বকরণের দাবি জানিয়ে মামলা দায়ের হল সুপ্রিম কোর্টে। পাশাপাশি পর্নোগ্রাফির উপর নিষেধাজ্ঞাও চাওয়া হয়েছে আবেদনকারীদের তরফে। মামলাটি শুনতে রাজি হয়েছে সর্বোচ্চ আদলত। পাশাপাশি কেন্দ্রের জবাবও তলব করা হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে।
ভারতে মহিলা, শিশু এবং ট্রান্সজেন্ডারদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান যৌন অপরাধের মোকাবিলা করতে এবং তাঁদের একটি নিরাপদ পরিবেশ দিতে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি আবেদন পর্যালোচনা করতে সম্মত হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ধর্ষণ ও অন্যান্য গুরুতর যৌন নির্যাতনের মামলায় কড়া শাস্তি চালু করার প্রস্তাব-সহ মোট 10 দফা দাবিতে মামলা দায়ের করেছে দেশের শীর্ষ আদালতের মহিলা আইনজীবী সংগঠন।
এই মামলায় সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক-সহ কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের কাছে জবাব চেয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টে মহিলা আইনজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে এই আবেদনটি দায়ের করেছেন সিনিয়র আইনজীবী মহালক্ষ্মী পাভানি। সূত্রের খবর, 2025 সালের জানুয়ারিতে মামলার শুনানি হবে।
আবেদনকারীর আইনজীবী জানান, কাকতালীয়ভাবে আজ নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের দ্বাদশতম বার্ষিকী। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আইনজীবী মহালক্ষ্মী পাভানি কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকের ধর্ষন-খুনের ঘটনারও উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, নির্ভয়া কাণ্ডের পর প্রায় 95টি যৌন হিংসার ঘটনা ঘটেছে ৷ কিন্তু, জাতীয় স্তরে এর জন্য প্রয়োজনীয় গুরুত্ব তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাঁর আবেদনে তিনি তাই এই ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন।
মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য প্যান-ইন্ডিয়া নির্দেশিকা চেয়ে করা পিআইএল-এ ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের রাসায়নিক বন্ধ্যাত্বকরণ এবং পর্নোগ্রাফির উপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনও জামিন না দেওয়ার আবেদনে কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রককে নোটিশ পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট এবং চার সপ্তাহের মধ্যে জবাবও চেয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।
শীর্ষ আদালতে করা ওই মামলায় বাস, ট্রেন, বিমানের মতো গণপরিবহণে যাত্রীদের সামাজিক আচরণের একটি সুনির্দিষ্ট বিধি-নিষেধ জারি করার আবেদন করা হয়েছে ৷ সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গণপরিবহণে উপযুক্ত সামাজিক আচরণের জন্য নির্দেশিকা তৈরি করার জন্য বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।