গুয়াহাটি, 2 ফেব্রুয়ারি: অসম পুলিশের গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফা (আই)-এর হাতে ধরা পড়েছেন মানস বোরগোহাইন ৷ এর পর ওই সংগঠনের হেফাজত থেকে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তিনি ৷ তাঁর দাবি, উলফা (আই)-এর নেতাদের যৌনতার ফাঁদে ফেলার জন্য মহিলাদের ব্যবহার করা হচ্ছে ৷ এর জন্য মহিলাদের যৌন শিক্ষার প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে ৷ মানস বোরগোহাইন এই কাজের জন্য মানস চালিহা নামে একজনকে কাঠগড়ায় তুলেছেন ৷ পাশাপাশি যাঁরা এই প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তাঁদের মানস চালিহার ফাঁদে পা না দেওয়ার অনুরোধ করেছেন মানস বোরগোহাইন ৷
শুক্রবার উলফা (আই)-এর তরফে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয় ৷ সেই ভিডিয়োতে মানস বোরগোহাইন দাবি, তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে মানস চালিহার বান্ধবীর ভালো সম্পর্ক রয়েছে ৷ সেই সূত্রেই তিনি চালিহার সঙ্গে পরিচিত হন ৷ তার পর মানসের কথা মতো উলফা (আই)-এর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি শুরু করেন ৷ অনেক যুবককেও প্রশিক্ষণ দিয়ে এই গুপ্তচরবৃত্তিতে ব্যবহার করা হচ্ছে ৷
একই সঙ্গে বোরগোহাইনের অভিযোগ, মানস চালিহা উলফা (আই) এর নেতাদের প্রলুব্ধ করার জন্য অসমীয়া মেয়েদের যৌন শিক্ষার প্রশিক্ষণ দেয় । আমার মতো অনেক যুবককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি, যুবতীদের প্রলুব্ধ করার বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ।
বোরগোহাইন এখন উলফা (আই)-এর হেফাজতে রয়েছে ৷ তাঁকে মায়ানমারের একটি ক্যাম্পে রাখা হয়েছে ৷ সেই ক্যাম্প থেকেই তিনি এ দিন ভিডিয়ো বার্তা দিয়েছেন ৷ তাঁর দুরাবস্থার কথা উল্লেখ করে বোরগোহাইন যুবতীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, "এরকম অর্থের প্রলোভনে পড়বেন না । মানস চলিহা আমাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছেন । আপনারা কেউ এখানে আসবেন না । মানস চালিহার দ্বারা প্রতারিত হবেন না । আমি যে ভুল করেছি, তা করবেন না ।"
উল্লেখ্য, মানস বোরগোহাইনের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন মানস চালিহা ৷ তবে তাঁর সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে বোরগোহাইন জানিয়েছেন যে চালিহার নির্দেশেই তিনি গুপ্তচরবৃত্তি শুরু করেন ৷ একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, মানস চালিহা কোনও জৈব চাষের সঙ্গে জড়িত নয় । উলফা (আই) এর বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবকদের ধরা পড়লেও তিনি যাতে বেঁচে থাকতে পারেন, সেই কারণে চাষের বিষয়টি নিয়ে মিথ্যা বলা হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন: