জয়সলমেঢ়, 25 মার্চ: পাকিস্তান সীমান্তে মোতায়েন বিএসএফ সেনা জওয়ানরা বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে সোমবার হোলি উৎসবে মেতে ওঠেন ৷ এদিন রঙের উৎসবে আনন্দে মশগুল হন বিএসএফ জওয়ানরা ৷ পরিবার থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে বসে হোলির উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠেন জওয়ানরা ৷ জাতি-ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে বিভিন্ন রাজ্যের এই বিএসএফ জওয়ানরা হোলির উচ্ছ্বাসে এতটাই মেতে উঠতে দেখা যায়, তাতে স্বাভাবিকভাবেই মনে হয়েছে সীমান্তের উত্তেজনা এবং চাপ থেকে এদিন অনেকটাই মুক্ত ৷
জয়সলমেঢ়ে ভারত-পাক সীমান্তে হোলির না-না রঙে কার্যত মেতে ওঠে বিএসএফ জওয়ানরা ৷ বিএসএফ সেনারা আনন্দের সঙ্গে এই উৎসব উপভোগ করেন। হোলির আনন্দে ছোট-বড় ভেদাভেদ ভুলে বিএসএফ অফিসাররাও বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে আসা সেনা জওয়ানদের সঙ্গে হোলি উৎসব উপভোগ করেন।
দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে পশ্চিম সীমান্তে নিয়োজিত বিভিন্ন জাতি-ধর্মের সীমান্তরক্ষীরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে একে অপরের গায়ে রং, গুলাল ও আবির দিয়ে হোলি খেলেন। হোলি খেলার পর একে অপরকে আলিঙ্গন এবং অভিনন্দনও জানান তাঁরা ৷ হোলি উপলক্ষ্যে, অফিসাররা তাদের নিজের হাতে সেনা জওয়ানদের শুধু আবির মাখানোই নয়, তাদের মিষ্টিও খাওয়ান।
বিএসএফ ডিআইজি যোগেন্দ্র সিং রাঠোরও এই হোলি উদযাপন কর্মসূচির অংশ হয়েছিলেন এদিন ৷ তাদের পরিবারের অভিভাবক হিসাবে, হোলির মহান উৎসবে সেনাদের মিষ্টি খাওয়ানোর মাধ্যমে শুভ হোলির শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন তিনি। পরে বিএসএফ ডিআইজি যোগেন্দ্র সিং রাঠোর বলেন, "বিএসএফ-এর সাহসী সেনারা যে উদ্দীপনা ও উৎসাহ নিয়ে হোলি উৎসব পালন করছে, সেভাবেই দেশের সীমান্তও রক্ষা করছে।" তিনি আরও বলেন, "বছরের 12 মাসের মধ্যে, জওয়ান 9 থেকে 10 মাস সীমান্তে তাদের পরিবার থেকে দূরে থাকে ৷ তবে একই আড়ম্বর এবং প্রদর্শনের সঙ্গে সমস্ত উৎসব উদযাপন করে।" ডিআইজি'র কথায়, "দেশ আমাদের পরিবার এবং ইউনিফর্ম আমাদের জাত। দেশের প্রতিটি কোণ থেকে সৈন্যরা একটি মিনি ইন্ডিয়া হিসাবে বিএসএফ-এ আনন্দের সাথে সমস্ত উৎসব উদযাপন করে।"
আরও পড়ুন: