ETV Bharat / bharat

মহৎ দান! প্রতিটি বাড়িতে একজন রক্তদাতা এই গ্রামে; জানেন কোথায় ? - Blood Donors Village

Blood Donors Village: যেখানে রক্ত দিতে এখনও অনেক তরুণ-তরুণীরাই ভয় পান, সেখানে এই গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে রয়েছেন একজন করে রক্তদাতা ৷ জানেন কর্ণাটকের বিখ্যাত এই রক্তদাতাদের গ্রাম সম্পর্কে ?

Blood Donors Village
মহৎ দান! প্রতিটি বাড়িতে একজন রক্তদাতা এই গ্রামে
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 21, 2024, 7:50 PM IST

হাভেরি (কর্ণাটক), 21 এপ্রিল: কথায় আছে, রক্তদান, মহৎ দান ! নিজের রক্ত দিয়ে অন্যের জীবন বাঁচানো থেকে মহান কাজ আর কিছু হয় না । এই কাজই বছরের পর বছর, পরিবারের পর পরিবার ধরে করে আসছে কর্ণাটকের হাভারির সাভানুরু তালুকের একটি গ্রাম ৷ যে গ্রামের নাম জল্লাপুর ৷ রক্তদাতাদের জন্য বিখ্যাত এই গ্রাম । এখানে 520টিরও বেশি বাড়ি রয়েছে এবং প্রতিটি বাড়িতে কমপক্ষে একজন রক্তদাতা রয়েছেন ।

জল্লাপুর গ্রামের যুবকরা 'জীবনদানী বলগ' নামে একটি দল গঠন করেছে এবং ক্রমাগত রক্তদান করছেন । এর আগে কোভিড অতিমারীর সময় প্রয়োজনে রক্ত ​​না পেয়ে গর্ভবতী-সহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে । বিষয়টি বুঝতে পেরে জল্লাপুর গ্রামবাসীরা তখন থেকেই রক্ত ​​দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন । গ্রামে একটি দল গঠন করা হয় এবং প্রতি বছর একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেন তারা ।

গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ও জনসমোক্ষে রক্তদানের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতামূলক উক্তি লেখা বোর্ড রয়েছে । বিশেষ করে গ্রামের বাসস্ট্যান্ডে রক্তদানের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হয়েছে । কেন রক্তদান গুরুত্বপূর্ণ? কে বা কারা এটা করতে পারেন ? বছরে কতবার রক্তদান করা উচিত? এর সুবিধা কী কী? এর থেকে কারা উপকৃত হতে পারেন? এগুলি ছাড়াও এখানে আরও অনেক কিছু সচেতনতামূলক বার্তা লেখা আছে ।

রক্তদাতার সংখ্যা প্রথমে অনেক কম থাকলেও দিনে দিনে তা বেড়েছে ৷ এখন এই গ্রামে 520 জনের বেশি রক্তদান করেন । 10 বারের বেশি রক্তদানকারী তরুণ-তরুণীর সংখ্যাও এখন বাড়ছে । হাভেরি জেলা হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি রক্ত ​​দেওয়ার সুনামও রয়েছে এই গ্রামের । রক্তদানের পাশাপাশি প্লাজমা, প্লেটলেট দানও করে থাকে তরুণ-তরুণীরা । এখানকার মানুষ জীবনকালে রক্তদান এবং মৃত্যুর পর চক্ষু ও অঙ্গদানের বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন দিকে দিকে । রক্তদান শিবির আয়োজনের পাশাপাশি এর গুরুত্ব নিয়ে সভা ও অনুষ্ঠানও করা হচ্ছে ।

জল্লাপুর গ্রামের বাসিন্দা সতীশ গাভালি নামে এক যুবক বলেন, "কোভিড চলাকালীন আমরা শুনেছি যে প্রসবের সময় রক্তের অভাবে অনেক গর্ভবতীর মৃত্যু হয়েছিল । তখনই গ্রামের সমস্ত মানুষ রক্ত ​​দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন । 2020 সালে গ্রামে প্রথম রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল । কোভিডের কারণে এই সময়ে 100 ইউনিট রক্ত খুব যত্ন সহকারে ​​সংগ্রহ করে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল ৷ পাশাপাশি রক্তদানের সঙ্গে অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই গ্রামের বাসিন্দারা ৷

আরও পড়ুন:

  1. বিয়েতে রক্তদান শিবিরের আয়োজন, মেহেন্দি হাতে নিজেও দিলেন রক্ত দিলেন কনে
  2. লেপ্টোস্পাইরোসিসে আক্রান্ত রকি, রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচাল সারমেয় সিরি
  3. সংকটের দিনে রোগীদের বাঁচাতে রক্তদাতা হাসপাতালের সুপার, চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা

হাভেরি (কর্ণাটক), 21 এপ্রিল: কথায় আছে, রক্তদান, মহৎ দান ! নিজের রক্ত দিয়ে অন্যের জীবন বাঁচানো থেকে মহান কাজ আর কিছু হয় না । এই কাজই বছরের পর বছর, পরিবারের পর পরিবার ধরে করে আসছে কর্ণাটকের হাভারির সাভানুরু তালুকের একটি গ্রাম ৷ যে গ্রামের নাম জল্লাপুর ৷ রক্তদাতাদের জন্য বিখ্যাত এই গ্রাম । এখানে 520টিরও বেশি বাড়ি রয়েছে এবং প্রতিটি বাড়িতে কমপক্ষে একজন রক্তদাতা রয়েছেন ।

জল্লাপুর গ্রামের যুবকরা 'জীবনদানী বলগ' নামে একটি দল গঠন করেছে এবং ক্রমাগত রক্তদান করছেন । এর আগে কোভিড অতিমারীর সময় প্রয়োজনে রক্ত ​​না পেয়ে গর্ভবতী-সহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে । বিষয়টি বুঝতে পেরে জল্লাপুর গ্রামবাসীরা তখন থেকেই রক্ত ​​দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন । গ্রামে একটি দল গঠন করা হয় এবং প্রতি বছর একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেন তারা ।

গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ও জনসমোক্ষে রক্তদানের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতামূলক উক্তি লেখা বোর্ড রয়েছে । বিশেষ করে গ্রামের বাসস্ট্যান্ডে রক্তদানের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হয়েছে । কেন রক্তদান গুরুত্বপূর্ণ? কে বা কারা এটা করতে পারেন ? বছরে কতবার রক্তদান করা উচিত? এর সুবিধা কী কী? এর থেকে কারা উপকৃত হতে পারেন? এগুলি ছাড়াও এখানে আরও অনেক কিছু সচেতনতামূলক বার্তা লেখা আছে ।

রক্তদাতার সংখ্যা প্রথমে অনেক কম থাকলেও দিনে দিনে তা বেড়েছে ৷ এখন এই গ্রামে 520 জনের বেশি রক্তদান করেন । 10 বারের বেশি রক্তদানকারী তরুণ-তরুণীর সংখ্যাও এখন বাড়ছে । হাভেরি জেলা হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি রক্ত ​​দেওয়ার সুনামও রয়েছে এই গ্রামের । রক্তদানের পাশাপাশি প্লাজমা, প্লেটলেট দানও করে থাকে তরুণ-তরুণীরা । এখানকার মানুষ জীবনকালে রক্তদান এবং মৃত্যুর পর চক্ষু ও অঙ্গদানের বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন দিকে দিকে । রক্তদান শিবির আয়োজনের পাশাপাশি এর গুরুত্ব নিয়ে সভা ও অনুষ্ঠানও করা হচ্ছে ।

জল্লাপুর গ্রামের বাসিন্দা সতীশ গাভালি নামে এক যুবক বলেন, "কোভিড চলাকালীন আমরা শুনেছি যে প্রসবের সময় রক্তের অভাবে অনেক গর্ভবতীর মৃত্যু হয়েছিল । তখনই গ্রামের সমস্ত মানুষ রক্ত ​​দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন । 2020 সালে গ্রামে প্রথম রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল । কোভিডের কারণে এই সময়ে 100 ইউনিট রক্ত খুব যত্ন সহকারে ​​সংগ্রহ করে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল ৷ পাশাপাশি রক্তদানের সঙ্গে অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই গ্রামের বাসিন্দারা ৷

আরও পড়ুন:

  1. বিয়েতে রক্তদান শিবিরের আয়োজন, মেহেন্দি হাতে নিজেও দিলেন রক্ত দিলেন কনে
  2. লেপ্টোস্পাইরোসিসে আক্রান্ত রকি, রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচাল সারমেয় সিরি
  3. সংকটের দিনে রোগীদের বাঁচাতে রক্তদাতা হাসপাতালের সুপার, চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.