রাঁচি, 23 সেপ্টেম্বর: মৌমাছির আক্রমণে মৃত্যু হল চার জনের ৷ এর মধ্যে তিন শিশুও আছে বলে জানা গিয়েছে ৷ টুপুদানা এলাকায় মৌমাছির আক্রমণে এক শিশু ও এক মহিলা-সহ পরিবারের চার সদস্যের মৃত্যু হয়েছে ৷
জানা গিয়েছে, সকালে কুয়োর জলে মুখ ধুতে গিয়েই বিপত্তি বাঁধে ৷ সেই সময় এক ঝাঁক মৌমাছি তাদের উপর হামলা চালায় বলে খবর ৷ ঘটনাস্থলেই দুই শিশুর মৃত্যু হয় ৷ এক মহিলা ও আরও এক শিশুকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদেরও মৃত্যু হয়। মৃত জ্যোতি গাদি (24), স্বামী সুনীল বার্লা এবং দুই সন্তান মনিকা বার্লা (5), মনিতা বার্লার (1) সঙ্গে রাঁচির টুপুদানা থানা এলাকার অন্তর্গত হারদাগ গড়হা টলিতে আত্মীয়ের বাড়ি এসেছিলেন। দুই মেয়ে, পরিবারের আরও এক শিশু রোহন গাদি (8)-কে নিয়ে কয়েকজন গ্রামবাসী সকালে কুয়োতে স্নান করতে গিয়েছিলান ৷ সেই সময় হঠাৎ মৌমাছিরা তাদের ওপর হামলা চালায় বলে দাবি। তারা পালানোর চেষ্টা করলেও বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি।
এইসময় তাদের চিৎকার শুনে কয়েকজন গ্রামবাসী তাদের উদ্ধারে কম্বল নিয়ে আসেন। তবে, ঘটনাস্থলেই মণিতা ও মনিকার মৃত্যু হয় ৷ জ্যোতি গাদি ও রোহনকে গুরুতর অবস্থায় রিমসে নিয়ে যাওয়া হলেও ভর্তি করা যায়নি ৷ পরে তাদের টুপুদানার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দু'জনেরই মৃত্যু হয় বলে খবর। পুলিশ সূত্রে খবর, জ্যোতি গাদি ও তাঁর মেয়ে মণিকা, মনিতা খুন্তির কররা ব্লকের কোসাম্বি গ্রামের বাসিন্দা। রোহন, জ্যোতি তাদের মামার বাড়িতে থাকত।
ঘটনার পর কোসাম্বি গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রবিবার ময়নাতদন্ত শেষে দেহগুলি গ্রামে আনা হয় ৷ এরপর গ্রামেই তাদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। জেএমএম জেলা সভাপতি জুবের আহমেদ বলেন, "ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব এবং পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হবে সরকারের তরফে।"