নয়াদিল্লি, 23 সেপ্টেম্বর: শপথ নিয়েছিলেন আগেই ৷ সোমবার দিল্লির অষ্টম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন অতিশী ৷ তবে কেজরিওয়ালের চেয়ারে বসলেন না তিনি ৷ পূর্বসূরি অরবিন্দ কেজরিওয়াল যে চেয়ারে বসতেন, সেটি পাশে রেখে অন্য চেয়ারে বসেছেন অতিশী ৷ কেজরিওয়ালের খালি চেয়ার পাশে রেখে রামায়ণ ভরতের উদাহরণ দিলেন দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী ৷
দিল্লি সচিবালয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসে দায়িত্ব নেন অতিশী। আগামী 26 এবং 27 সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে দিল্লি বিধানসভার অধিবেশন। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন অতিশী। এদিন দায়িত্ব নেওয়ার আগে এক্স হ্যান্ডেলে অতিশী লেখেন, "আজ আমি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছি ৷ আমার হৃদয়ে সেই একই ব্যথা অনুভব করছি যা ভরত করেছিলেন ৷ যখন তাঁর বড় ভাই ভগবান শ্রীরাম 14 বছরের বনবাসে গিয়েছিলেন ৷ ভরতকে তখন দায়িত্ব নিতে হয়েছিল। যেমন ভগবান শ্রীরামের পাদুকা রেখে ভরত 14 বছর ধরে অযোধ্যা শাসন করেছিল, আমি 4 মাস দিল্লির সরকার চালাব ৷"
অতিশী তাঁর পাশে কেজরিওয়ালের ব্যবহৃত খালি চেয়ারটি রেখেছেন ৷ আলাদা একটি চেয়ারে বসেছেন তিনি ৷ সেই ছবিও শেয়ার করেছেন অতিশী। শিক্ষা, রাজস্ব, অর্থ এবং পূর্ত-সহ কেজরিওয়াল সরকারের 13টি বিভাগ অতিশী নিজের হাতে রেখেছেন। সৌরভ ভরদ্বাজ আটটি দফতরের দায়িত্ব রেখেছেন নিজের হাতে ৷ দিল্লির আবগারি কেলেঙ্কারিতে ইডি তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় কার্যত নিষ্ক্রিয় ছিল।
মন্ত্রিসভায় নতুন এসেছেন মুকেশ আহলাওয়াত ৷ শ্রম, এসসি, এসটি, কর্মসংস্থান এবং জমি-বিল্ডিং বিভাগের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। গোপাল রাইকে উন্নয়ন, সাধারণ প্রশাসন বিভাগ, পরিবেশ ও বন দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷ তিনি কেজরিওয়াল সরকারেও ছিলেন। কৈলাশ গেহলতও তাঁর আগের পোর্টফোলিওগুলি যেমন পরিবহণ, বাড়ি, প্রশাসনিক সংস্কার, মহিলা এবং শিশু উন্নয়ন-এর দায়িত্বে রয়েছেন।