মানসা, 28 ফেব্রুয়ারি: প্রখ্যাত পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালাকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পর মানসিকভাবে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছিলেন তাঁর মা চরণ কৌর এবং বাবা বলকৌর সিং ৷ মাত্র 28 বছরের একমাত্র ছেলেকে হারানোর পর তাঁরা এ বার দ্বিতীয় সন্তানের অপেক্ষায় ৷ 2 বছরের যন্ত্রণা পেরিয়ে অবশেষে তাঁদের মুখে হাসি ফুটেছে ৷ প্রয়াত সিধুর 58 বছরের মা মুসওয়ালার মা চরণ কৌর কয়েক মাসের মধ্যেই দ্বিতীয় সন্তানের মা হতে চলেছেন ৷ সৌজন্যে ইন ভিটরো ফার্টিলাইজেশন ৷
সিধুর মা অন্তঃসত্ত্বা: প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সিধু মুসেওয়ালার বাবা বলকৌর সিং এবং মা চরণ কৌর আইভিএফ কৌশল গ্রহণ করেছেন । সে জন্যই চরণ কৌর গত কয়েকদিন ধরে সাধারণ মানুষ এবং সিধুর ভক্তদের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন । সূত্রের মতে, এই সময়ে তিনি পুরো মেডিকেল টিমের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন এবং এখনও পর্যন্ত তাঁর শরীরে যা যা প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে, তার সবই ইতিবাচক ।
শুভেচ্ছা মুসেওয়ালার বাবা-মাকে: সিধু মুসেওয়ালাকে 2022 সালে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল । তারপর থেকে পরিবারটি সবার থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল ৷ হতাশ হয়ে পড়েছিলেন মুসেওয়ালার ভক্তরা । সেই ঘটনার প্রায় 2 বছর পর খুশির খবর শোনা গেল মুসেওয়ালার পরিবার থেকে । সবকিছু ঠিক থাকলে, আগামী কয়েক মাসে প্রয়াত সিধু মুসেওয়ালার একটি ছোট ভাই বা বোন আসতে চলেছে ৷
সিধুকে গুলি করে খুন: জনপ্রিয় ব়্যাপার সিধু মুসেওয়ালা কংগ্রেসের টিকিটে 2022 সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সফল হননি ৷ সে বছরই 29 মে মানসার জাওহারকে গ্রামে গুলি করে হত্যা করা হয় তাঁকে ৷ পুলিশের মতে, মুসেওয়ালা তাঁর এসইউভি-তে তাঁর খুড়তুতো ভাই গুরপ্রীত সিং এবং প্রতিবেশী গুরবিন্দর সিং-এর সঙ্গে বিকেল সাড়ে চারটের দিকে বার্নালায় তাঁর পিসির বাড়ির পথে যাচ্ছিলেন । বিকেল সাড়ে পাঁচটায় যখন তাঁরা জাওহারকেতে পৌঁছন, তখন তাঁদের এসইউভিকে আটকে দেয় অন্য দুটি গাড়ি । এরপরই সিধুকে লক্ষ্য করে প্রায় 30 রাউন্ড গুলি চালানো হয় ৷ সিধু তাঁর আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে প্রতিরোধ গড়ে তুললেও শেষরক্ষা হয়নি ৷ অপারেশন ব্লু স্টারের বার্ষিকীর আগে যে 424 জনের নিরাপত্তা কমানো হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে মুসেওয়ালা অন্যতম ৷ চারজনের পরিবর্তে তাঁর নিরাপত্তায় দেওয়া হয় দুইজন কমান্ডো ৷
আইভিএফ কৌশল কী: আইভিএফ প্রক্রিয়ায় দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগে । মাতৃগর্ভে ডিম্বাণু এবং শুক্রাণু বিকাশের পরিবর্তে একটি পরীক্ষাগারে এই দুটির বিকাশের প্রক্রিয়াটিকে ইন ভিটরো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) বলা হয় । এইভাবে প্রস্তুত করা ভ্রূণ একটি সূক্ষ্ম প্লাস্টিকের টিউবের মাধ্যমে মহিলার জরায়ুতে বসানো হয় । এর পরে শিশুটি মায়ের গর্ভেই বেড়ে ওঠে ।
সুস্থ শিশুর জন্ম: যেসব দম্পতি সন্তান ধারণ করতে অক্ষম তাদের আইভিএফ-এর মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয় । এই নতুন প্রযুক্তির কারণে গর্ভধারণ অনেক সহজ হয়েছে । এই প্রক্রিয়া প্রাকৃতিকভাবে ঘটে, যার ফলে একটি সুস্থ শিশুর জন্ম হয় । সিধুর শোকার্ত বাবা-মায়ের বয়স বেশি হয়ে যাওয়ায় তাঁরাও এই পদ্ধতি অবলম্বন করে পরিবারে নতুন অতিথিকে স্বাগত জানানোর ব্যবস্থা করেছেন ৷
আরও পড়ুন: