নয়াদিল্লি, 19 মে: আম আদমি পার্টিকে চূর্ণ করার জন্য 'অপারেশন ঝাড়ু' শুরু করেছে বিজেপি ৷ তারা আপের সব বড় নেতাকে গ্রেফতার করার পরিকল্পনা করেছে ৷ রবিবার বিজেপির সদর দফতরে অভিযান শুরুর আগে এভাবেই নরেন্দ্র মোদির দলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ৷ স্বাতী মালিওয়ালের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর আপ্ত সহায়ক বিভব কুমারের গ্রেফতারির প্রতিবাদে আজ দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে অভিযান করছে আপ ৷ সেই অভিযান শুরুর আগে রাজধানীর ডিডিইউ মার্গে বিজেপিকে তুলোধোনা করেন কেজরিওয়াল ৷
এ দিন কেজরিওয়াল বলেন, "বিজেপি 'অপারেশন ঝাডু' শুরু করেছে যাতে আমরা বড় না হই এবং তাদের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে না-যাই। 'অপারেশন ঝাডু'-এর মাধ্যমে আপের বড় নেতাদের গ্রেফতার করা হবে, এবং আগামী দিনে আপের ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ করা হবে ৷"
কেজরিওয়াল তাঁর ভাষণে আরও বলেন যে, 2024 সালের সাধারণ নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে আপ নেতাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি । তাঁর কথায়, "ইডির আইনজীবী ইতিমধ্যে আদালতে এই বিবৃতি দিয়েছেন যে, নির্বাচনের পরেই আপের ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলি জব্দ করা হবে । তারা যদি এখন আমাদের অ্যাকাউন্ট জব্দ করে তবে আমরা সহানুভূতি পাব । নির্বাচনের পরে তারা আমাদের অ্যাকাউন্ট, আমাদের অফিস বাজেয়াপ্ত করবে এবং আমাদের রাস্তায় আনা হবে - এই 3টি পরিকল্পনা বিজেপির তৈরি ৷"
মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, তাঁর কাছ থেকে কোনও সোনা বা টাকা উদ্ধার করা হয়নি, এবং বিজেপি মিথ্যা মামলা তৈরি করে আপ নেতাদের গ্রেফতার করেছে । কেজরির কথায়, "আমি 2015 সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে, তারা (বিজেপি) কত অভিযোগ তুলেছে ? এখন তারা বলছে যে আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি হয়েছে, মানুষ তাদের জিজ্ঞাসা করছে, কেলেঙ্কারি হয়েছে কি ? টাকা কোথায় ? অভিযান হয়, নোট এবং সোনা উদ্ধার হয়ে থাকে ৷ কিন্তু এখানে সব টাকা কোথায় ? তারা (বিজেপি) ভুয়ো মামলা করেছে ৷"
এ দিকে, হেনস্থার মামলায় আজ বিভব কুমারকে দিল্লির তিস হাজারি আদালতে হাজির করা হয় ৷ আদালত তাঁকে পাঁচ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে ৷
রবিবার আপের কর্মসূচির কথা মাথায় রেখে বিজেপির সদর দফতরের বাইরে 144 ধারা জারি করা হয়েছে ৷ কোনও আপ সমর্থক যাতে বিক্ষোভের সময় ওই এলাকায় ঢুকতে না পারে, সে জন্য নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা ৷ আম আদমি পার্টির নেতারা পরিকল্পিত 'জেল ভরো'র প্রতিবাদের অংশ হিসাবে জাতীয় রাজধানীতে বিজেপি সদর দফতরের দিকে মিছিল করে যাওয়া শুরু করে । সেই সময়ই দিল্লি পুলিশ আপের বেশ কয়েকজন কর্মীকে আটক করে ৷ দিল্লি সেন্ট্রালের ডিসিপি হর্ষবর্ধন মাণ্ডব বলেন, "আমরা তাঁদের থামিয়ে দিয়েছি কারণ 144 সিআরপিসি প্রয়োগ করা হয়েছে এবং আমরা তাঁদের ছত্রভঙ্গ হতে বলেছি, পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা রয়েছে ।"
দিল্লির মন্ত্রী তথা আপ নেত্রী অতীশি বলেন, "ভারতীয় জনতা পার্টি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আম আদমি পার্টির সমস্ত নেতাকে একে একে জেলে ঢোকাচ্ছেন, কেন ? কারণ তাঁরা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাজকে ভয় পায় । তারা বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, ভালো স্কুল - এসব দিতে সক্ষম নয়, এই কারণেই তারা আম আদমি পার্টিকে শেষ করতে চায়...৷"
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, "তিনি পদত্যাগ করেননি । তাঁর দলের কর্মীরা মহিলা সাংসদকে মারধর করেছেন, কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না ?"
আরও পড়ুন: