আমেদাবাদ, 11 জানুয়ারি: স্কুলের করিডর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আচমকাই চেয়ারে বসে পড়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ৷ আশাপাশের বন্ধুরা তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে ৷ কিন্তু, ততক্ষণে সে লুটিয়ে পড়েছে মাটিতে ৷ কয়েকজন তাকে জল দেয়। তাতে ছাত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া না-পেয়ে আশপাশে থাকা সকলকে বিষয়টি জানায় ৷ তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা ৷
শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ আমেদাবাদের ওই বেসরকারি স্কুলে পৌঁছনর পরই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে আট বছরের গার্গী তুষার রানপারা ৷ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণেই গার্গীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ স্কুলের যে সিসিটিভি প্রকাশ্যে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে, সে নিজের ক্লাসের দিকে যাচ্ছিল ৷ তখন তাকে দেখে মনে হচ্ছিল তার অস্বস্তি হচ্ছে। তারপর করিডরের একটি চেয়ারে বসে পড়ে ছাত্রী। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটি মাটিতে পড়ে যায়। তড়িঘড়ি স্কুলের শিক্ষকরা গিয়ে সিপিআর দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান।
প্রিন্সিপাল জানান, গার্গী স্কুলে এসে আচমকায় বুকে ব্যথা অনুভব করে ৷ ওর নিঃশ্বাসের সমস্য়া হচ্ছিল ৷ ওখানে থাকা স্কুলের কর্মী থেকে শিক্ষকরা তাড়াতাড়ি অ্যাম্বুলেন্সে ফোন করেন ৷ অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হওয়ায় তাকে স্কুল কর্মীদের গাড়িতে করে নিকটবর্তী জাইডাস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷
প্রাথমিকভাবে চিকিৎসক জানান, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টেই মৃত্যু হয়েছে। মেয়েটি এখানে দাদু, দিদার সঙ্গে থাকত ৷ তার বাবা-মা মুম্বইয়ে থাকেন ৷ হাসপাতাল তরফে আরও জানা গিয়েছে, সাধারণ জ্বর, সর্দি, কাশি ছাড়া শিশুটির শরীরে অন্য কোনও অসুখ ছিল না বলে জানান গার্গীর দাদু, দিদা ৷ উল্লেখ্য, এর আগে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে কর্ণাটকের একটি স্কুলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় 8 বছর বয়সি এক ছাত্রীর ৷ সেদিন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।