কোট্টায়াম(কেরল), 14 ডিসেম্বর: আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারের (এএসএফ) সংক্রমণ ধরা পড়েছে কেরলে ৷ কোট্টিকল এবং ভাঝুর পঞ্চায়েতের দুটি শূকরের খামার থেকে সংক্রমণের খবর সামনে এসেছে ৷ এরপরেই জেলাশাসক জন ভি স্যামুয়েল আক্রান্ত শূকরগুলিকে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন ।
জেলাশাসকের নির্দেশাবলীতে বলা হয়েছে, এটি কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকাগুলির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ৷ তাতে আরও বলা হয়েছে, সোয়াইন ফিভারের আক্রান্ত শূকরগুলিকে ওই খামারগুলির এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে মেরে দাহ করতে হবে । জেলাশাসক জন ভি স্যামুয়েল বলেছেন, "খামারের এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে সমস্ত আক্রান্ত শূকরকে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা অনুসারে মেরে ফেলা হবে এবং দাহ করা হবে । জেলা পশুপালন অফিসারকে এই প্রক্রিয়াটি তদারকি করার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে ৷"
এছাড়াও, সংক্রামিত খামারগুলির 10 কিলোমিটার এলাকা জুড়ে শূকরদের পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করার জন্য নজরদারি জোরদার করা হয়েছে । জেলা প্রশাসন সংক্রমিত খামারের বাইরে শূকর ও পশুখাদ্য পরিবহণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ৷ পাশাপাশি শূকরের মাংস বিক্রি ও বিতরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ।
জেলাশাসক বলেছেন, "সংক্রামিত এলাকা থেকে শূকরের মাংস বিতরণ ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে । একইভাবে, ওই অঞ্চলগুলি থেকে অন্যান্য অঞ্চলে শূকরের মাংস বা খাদ্য পরিবহণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৷"
জেলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার H1N1 বা সোয়াইন ফ্লুর থেকে আলাদা ৷ কারণ এএসএফে শুধুমাত্র শূকর আক্রান্ত হয় ৷ এটি মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীর ক্ষেত্রে কোনও ঝুঁকি তৈরি করে না । তবে যেহেতু আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারের জন্য এখনও কোনও ভ্যাকসিন বা প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা উপলব্ধ নেই, তাই এটিতে উল্লেখযোগ্য শূকরের মৃত্যু ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে ।
তবে এবারই কেরলেয আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারে শূকরের আক্রান্তের প্রথম ঘটনা নয়, কারণ 2022 সালে মানানথাবাদি পুরসভা এলাকা এবং কান্নুরের অন্যান্য পঞ্চায়েতে এই রোগের প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে জ্বর প্রথম সনাক্ত করা হয়েছিল ।