নয়াদিল্লি, 30 জুন: লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দিল্লি ৷ প্রথম দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে মোট 11 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ রবিবার সকালে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, শনিবারে দিল্লিতে বৃষ্টি ও জমা জলের জেরে নতুন করে 6 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ এই পরিস্থিতিতে দিল্লি প্রশাসনের তরফে জানান হয়েছে, আগামিদিনে জমা জলের সমস্যা এড়াতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ৷ উল্লেখ্য, আগামী 3 জুলাই পর্যন্ত জাতীয় রাজধানীতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে ৷
দিল্লি পুলিশের তরফে জানান হয়েছে, শনিবার উত্তর-পশ্চিম দিল্লির বাদলি এলাকায় আন্ডারপাসে জমা জলে ডুবে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে ৷ জানা গিয়েছে, দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে ওই আন্ডারপাসে জল জমে রয়েছে ৷ ফলে প্রশ্ন উঠেছে, সেখানে সুরক্ষার বিষয়ে নজরদারি কি ছিল না ? জল জমে রয়েছে ৷ এমন অবস্থায় সেখানে ওই দুই কিশোর কীভাবে গেল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে ৷ এ নিয়ে কোনও জবাব পুলিশের তরফে দেওয়া হয়নি ৷ অন্যদিকে, ওখলা এলাকায় 60 বছরের এক বৃদ্ধ তাঁর স্কুটার নিয়ে আন্ডারপাসের জমা জলে আটকে যান ৷ জমা জলে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় তাঁর ৷ ওই বৃদ্ধের নাম দিগ্বিজয় কুমার ৷ তিনি দিল্লির জইতপুরের বাসিন্দা ৷
অন্যদিকে, শনিবার সকালে ধসে পড়া দেওয়ালের ধ্বংসাবশেষ থেকে তিনজন শ্রমিকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে ৷ বসন্ত বিহার এলাকায় নির্মিয়মাণ বহুতলের দেওয়াল ধসে পড়ে ৷ জানা গিয়েছে, লাগাতার বৃষ্টি ও হাওয়ার দাপটে সদস্য নির্মিত ওই দেওয়ালটি ধসে পড়ে ৷ আর ধসে পড়া দেওয়ালে চাপা পড়েই ওই তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে ৷ সবমিলিয়ে শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে এখনও পর্যন্ত 11 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ শুক্রবার থেকে শনিবারের মধ্যে দিল্লিতে 228.1 মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ৷ 1936 সালের পর জুন মাসের কখনও এত বৃষ্টি হয়নি দিল্লিতে ৷
শনিবারই ভারতীয় মৌসম ভবন জাতীয় রাজধানী ও তার সংলগ্ন এলাকায় (এনসিআর) কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে ৷ রবিবার ও সোমবারেও দিল্লিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে ৷ আইএমডি-র তথ্য অনুযায়ী, সাফদরজং এলাকার মানমন্দিরে দুপুর আড়াইটে থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে 8.9 মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ৷ আর লোধি রোড এলাকায় ওই সময়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল 12.6 মিলিমিটার ৷